ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝড়ে ও হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ও হবিগঞ্জে বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে দুই জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। সরাইলের বুড্ডা গ্রামের আব্দুল আলীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘূর্ণির মতো কিছু একটা আকাশে দেখা যায়। মুহূর্তে নেমে এসে অন্তত ১০-১৫টি কাঁচা বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে যায়।’
কুচনি গ্রামের আজিম মিয়া বলেন, ‘সকালের ঝড়ে আমাদের পাঁচটি টিনের ঘর ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া, বাড়ির আশেপাশের অনেক কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে।’
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ঝড়টি আঘাত হানে। ওই দুই ওয়ার্ডে প্রায় ৫০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে।’

বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হাবিবা বেগম বলেন, ‘আশুরাইল গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে সোহেল আহমেদ ডাকঘরে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। বাড়ি থেকে নাসিরনগর যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে আতঙ্কিত বোধ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমা আশরাফী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেছি। অন্তত এক শ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কাজ চলছে। ঝড়ের কবলে পড়ে একজন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি।’
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হন আরও তিন জন। আজ শনিবার সকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় দুই জন ও শায়েস্তাগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে পাঁচ জন হাওরে কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই রনিয়া গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে মারফত আলী (১৬) ও আবেদ আলীর ছেলে রবিন মিয়ার (১৭) মৃত্যু হয়। এ সময় বাকি তিন জন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমি আক্তার বলেন, ‘সকালে বজ্রপাতে উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের আছকির মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।’
গতকাল হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় বজ্রপাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। সে সময় আহত হয় আরও এক শিশু। মরদেহ সৎকারের জন্য তিন পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
Comments