বাগেরহাটে জোয়ারের পানিতে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত

বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভাঙা বেড়িবাঁধ থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
গত ২০ মে বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পানি নেম যাওয়ার পরে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল এখানকার জনজীবন। কিন্তু, আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে জোয়ারে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বগী গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পূর্ণিমার কারণে বর্তমানে বলেশ্বর নদীতে পানির চাপ বেশি।
যতদিন পানির চাপ বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত হওয়া মানুষদের। খুব শিগগির ভাঙা স্থানগুলোর মেরামত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তাফা শাহিন।
শরণখোলাবাসী বলছেন, ‘অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। জড় জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ভেসে যাই। এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা।’
বগী গ্রামের শাহজাহান বলেন, ‘আম্পানের ফলে পানিবন্দী কয়েকদিন ছিলাম। অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করেছি। কিন্তু, আজ আবার হঠাৎ জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হলো। এভাবে হতে থাকলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।’
স্থানী ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, ‘জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্না বন্ধ আছে। যাদের সুযোগ আছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। পানি কমলে আবার আসবে।এই অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।’
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তাফা শাহিন বলেন, ‘খুব শিগগির ভাঙা স্থানগুলো মেরামত শুরু করা হবে। যাতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকতে না পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ করা হবে।’
গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগি ও গাবতলা গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Comments