ওয়াসিমের চোখে ভিভ সেরা, শচীন পঞ্চম

wasim akram
ছবি: এএফপি

বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে যেসব তারকা ব্যাটসম্যানের মুখোমুখি হয়েছেন কিংবা সতীর্থ হিসেবে খেলেছেন, তাদের মধ্য থেকে সেরা পাঁচ জনকে ক্রমানুসারে বেছে নিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।

পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসকে রেখেছেন তালিকার শীর্ষে। ‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত বাঁহাতি পেসার ক্রিকেট ইতিহাসের আরেক সেরা ব্যাটসম্যান ভারতের শচীন টেন্ডুলকারকে দিয়েছেন পঞ্চম স্থান।

সম্প্রতি জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ বাসিত আলি তার ইউটিউব শোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ওয়াসিমকে।

আড্ডা চলাকালীন ওয়াসিমকে সামগ্রিক দক্ষতার বিচারে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দেখা সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ক্রমানুসারে বেছে নিতে বলেন বাসিত।

ওয়াসিম সবার আগে বেছে নেন ভিভকে, ‘যদি নজিরবিহীন টেকনিক, কারিশমা এবং খেলায় দুর্দান্ত প্রভাব ফেলেন এমন কোনো ব্যাটসম্যানের কথা বলতে হয়, তবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের কথাই আমি বলব। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশক হয়ে ২০০০ সালের পরও সমস্ত গ্রেট ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আমি খেলেছি। তবে ভিভ রিচার্ডস ছিলেন সবার ঊর্ধ্বে।’

তার চোখে দ্বিতীয় সেরা নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা মার্টিন ক্রো, ‘নিখুঁত কৌশলের কারণে মার্টিন ক্রোকে আমি দ্বিতীয় স্থানে রাখব। যখন রিভার্স সুইংয়ের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে কোনো ধারণা ছিল না গোটা বিশ্বের, তিনি তখন আমাদের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলতেন। একবার একটা টেস্ট সিরিজে ওয়াকার (ইউনুস) তিন ম্যাচে ৩০ উইকেট পেয়েছিলেন আর আমি চোট পাওয়ার আগে দেড় ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলাম। সেই সিরিজেও ক্রো দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারাকে তৃতীয় স্থানে রাখার ব্যাখ্যায় ওয়াসিম বলেন, ‘তিন নম্বরে আমি “ক্যারিবিয়ান রাজপুত্র” ব্রায়ান লারাকে রাখব। তিনি একজন মানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার বিপক্ষে বোলিং করাটা ছিল আলাদা এবং অদ্ভুত রকমের অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন দিক থেকে তিনি ব্যাট চালাতেন। তিনি কখনোই স্থির থাকতেন না।’

সাবেক সতীর্থ ইনজামাম-উল-হককে চার ও শচীনকে পাঁচ নম্বরে বেছে নেন ওয়াসিম। ‘ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর’ খ্যাত তারকাকে সবার শেষে রাখার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি টেন্ডুলকারকে আলাদা করে রাখছি। কারণ, আমরা তার বিপক্ষে দশ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। ওয়াকার ও আমি টেস্ট ম্যাচে দশ বছর তার বিপক্ষে বোলিং করিনি। ১৯৮৯ সালে তিনি ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানে এসেছিলেন। এরপর আমরা ১৯৯৯ সালে তার বিপক্ষে খেলেছি।’

‘মাঝে আমি ওয়ানডেতে শারজায় তার বিপক্ষে বোলিং করেছিলাম। তবে টেস্ট ক্রিকেট আলাদা বিষয়। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি সেরা খেলোয়াড়দের একজন। কিন্তু যেহেতু একজন বোলার হিসেবে আমি নিজের সেরা সময়টাতে তার বিপক্ষে বোলিং করিনি, সেকারণে তাকে বিচার করা আমার পক্ষে কঠিন।’

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

7h ago