আইনি পেশা চালাতে পারবেন গাইবান্ধার ১৭ আইনজীবী: হাইকোর্ট
ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেওয়ায় ১৭ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল করে গাইবান্ধা বার অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। আজ রোববার বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) এই আদেশ দেন। এ আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান।
কোনো আইনজীবীকে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে গাইবান্ধা বারকে আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন মাহবুবে আলম।
শুনানিতে তিনি আদালতকে অবহিত করেন, রাষ্ট্রপতি অনুমদিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী সারা দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রমের অংশ নেওয়া কোনোভাবেই অবৈধ হতে পারে না। বার অ্যাসোসিয়েশন কোনো আইনজীবীকে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে না।
মাহবুবে আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গাইবান্ধা বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। শিগগির এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে।
১৭ আইনজীবী হলেন, পিযুষ কান্তি পাল, এস এম মাজহারুল ইসলাম সোহেল, মো. শাহনেওয়াজ খান, মো. নওশাদুজ্জামান, মো. সরওয়ার হোসেন বাবুল, মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু, মো. রেজওয়ানুল হক মন্ডল, মো. আশরাফ আলী, বেগম বদরুন্নাহার, নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, মো. আব্দুস সালাম, জি এম মুরাদ হাসান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মুরাদজ্জামান রব্বানী, মো. আব্দুর রশীদ, খন্দকার মঞ্জুরুল করিম সোহেল ও মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার জিন্নাহ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে গত ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ অধ্যাদেশ দেয় সরকার। তবে ১৭ মে গাইবান্ধা বার অ্যাসোসিয়েশন জরুরি সভা ডেকে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ২ জুন ১৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। ৪ জুন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে গাইবান্ধা বারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন কয়েকজন আইনজীবী।
Comments