আইপিএল আয়োজন করতে চায় আরব আমিরাত

ipl
ছবি: এএফপি

কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যদি ২০২০ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তুমুল জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল এই টি-টোয়েন্টি আসরটি নিজেদের মাটিতে আয়োজন করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড।

আইপিএলের ১৩তম আসর গেল মার্চের শেষদিকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংকট তৈরি হওয়ায় তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুঞ্জন চলছে, আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়াতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হলে ফাঁকা সময়টাতে আইপিএল আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুবাইভিত্তিক ‘গালফ নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করে এরই মধ্যে বিসিসিআইকে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে।

দৈনিকটির কাছে আমিরাত বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মুবাশশির উসমানি বলেছেন, ‘আমাদের বোর্ড আগেও (২০১৪ সালে) সাফল্যের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আইপিএল ম্যাচ আয়োজন করেছে। অতীতে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুজাতিক ক্রিকেট কর্মকাণ্ড সফলভাবে আয়োজন করার পরীক্ষিত রেকর্ড রয়েছে আমাদের।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘অত্যাধুনিক ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভেন্যুগুলো আমিরাতকে সব ধরনের ক্রিকেট আয়োজনের জন্য একটি পছন্দসই স্থান করে তুলেছে।’

উসমানী আরও জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ করার জন্য আরব আমিরাতকে ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকেও (ইসিবি) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ‘দুটি বোর্ডের একটিও যদি আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে তবে আমরা খুশি মনে তাদের ম্যাচগুলো আয়োজন করব।’

উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও (এসএলসি) আইপিএল আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গেল এপ্রিলে বিসিসিআইকে প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আগামী ১০ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ড সভায় বসবে। চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারিত হবে সেদিন। এর পরই আইপিএলের সূচি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to scale back foreign loan reliance

The government plans to scale back its dependence on foreign loans as it seeks to mitigate threats to external debt sustainability.

11h ago