বেশি দামে ওষুধ বিক্রি: চট্টগ্রামে ৩০ ফার্মেসিকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের ওষুধের পাইকারি বাজার হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি, নকল পিপিই, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখাসহ ১৪ টি অনিয়মের দায়ে ৩০টি ফার্মেসিকে প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার দুপুর ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার অভিযানে জেলা প্রশাসনের সাথে র্যাব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারও অংশ নেন।
দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম আদায় করছিল চট্টগ্রামের ওষুধের পাইকারী বাজার হাজারী গলিতে। ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জেলা প্রশাসনের চার জন ম্যাজিস্ট্রেট দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসময় অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রিসহ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা, নকল পিপিই ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি, বিক্রি রসিদ না রাখা, বিদেশি ও নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রিসহ ১৪টি অনিয়ম শনাক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে ৩০টি ফার্মেসিকে ১০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন মো. ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাজারে কোনও কোম্পানির ওষুধের সংকট নেই। আমরা নিয়মিত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। করোনা রোগী ও করোনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগের জন্য তৈরি ২৭টি ওষুধের যাতে কোন সংকট তৈরি না হয় সে বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। তাছাড়াও এসব কাঁচামাল আমদানি থেকে পরিবহনেও কোন ধরনের সমস্যা নেই। তাই এসব পণ্যের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।
Comments