১০ মিনিটের বৃষ্টিতেই ড্রেনের ময়লায় ভেসে যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশদ্বার

১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই সুয়ারেজ থেকে উঠে আসা ময়লা-আবর্জনায় ভেসে যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তাসহ প্রবেশদ্বার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি উঠে এভাবেই ভেসে যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাস্তা। এর মধ্যে দিয়ে পার হয়েই যেতে হয় হাসপাতালে। ছবি: স্টার

১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই ড্রেন থেকে উঠে আসা ময়লা-আবর্জনায় ভেসে যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তাসহ প্রবেশদ্বার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।

কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই সমস্যা সমাধানে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় এবার নতুন করে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।

২৫৫ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালটি কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার প্রায় অর্ধকোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত।

নানা সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করেই হাসপাতালটি প্রতিদিন শয্যা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভর্তিকৃত রোগী এবং দেড় সহস্রাধিক বহির্বিভাগ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাক্রান্ত রোগী ও একটি পিসিআর ল্যাব। একই সঙ্গে হাসপাতালটি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী কার্যালয়। অসংখ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের আনাগোনা সেখানে। ফলে রোগীর চাপ আরও বাড়িয়ে তোলে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতালের প্রবেশ পথের পাশেই মসজিদ এবং তার পাশেই প্রধান ডাকঘর। পথের দুপাশে দুটি ড্রেন। কিন্তু ড্রেনে জ্যাম থাকে সাড়া বছরই। হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তাটি বহুদিনের পুরনো ও নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হলেই সব ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় উঠে আসে। এই অবস্থা চলছে প্রায় ছয় বছর ধরে।

হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘বিষয়টি চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির। একাধিকবার লিখিত আবেদনেও সাড়া দেননি পৌর কর্তৃপক্ষ।’

এটাকে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় বলে উল্লেখ করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোসা. নূরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষ অবহেলা না করে সামান্য দৃষ্টি দিলেই দীর্ঘ ছয় বছরের এই সমস্যাটির সমাধান হয়।’

বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন অসংখ্য রোগী এবং তাদের স্বজনরা।

নুর আলম দুলাল নামের একজন রোগীর স্বজন জানান, তিনি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এসেও ভেতরে প্রবেশ করেননি। কারণ তার মনে হয়েছে ঐ ময়লা পেরিয়ে গেলে তার কোনো সমস্যা হতে পারে।

হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান রাস্তাসহ ড্রেনটি অনেক আগেই করার কথা কুষ্টিয়া পৌরসভার।

কেন দেরি হচ্ছে ড্রেনটি করতে? এমন প্রশ্নে জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিষয়টি তিনি জেনে জানাবেন।

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে বলেন, ‘রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদাররা শিগগির কাজ শুরু করবে।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago