বর্তমানে সবচেয়ে বড় রোগ বর্ণবাদ: স্টার্লিং

বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা পৃথিবীর জনজীবন বিপর্যস্ত। চার লাখেরও বেশি মানুষ এর মধ্যেই মারা গিয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের এ সময়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো বিশ্ব। জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর থেকেই আন্দোলন তুমুল হয়ে উঠেছে। আর বর্ণবাদকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে রোগ জানিয়ে আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিং।
ফাইল ছবি: এএফপি

বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা পৃথিবীর জনজীবন বিপর্যস্ত। চার লাখেরও বেশি মানুষ এর মধ্যেই মারা গিয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের এ সময়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো বিশ্ব। জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর থেকেই। আর বর্ণবাদকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে রোগ জানিয়ে আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিং।

বর্ণবাদকেও রোগ হিসেবে উল্লেখ করে এটাকে দ্রুত নির্মূলের উপায় বের করার ওপর জোর দাবি জানিয়ে সম্প্রতি বিবিসকে এক সাক্ষাৎকারে স্টার্লিং বলেছেন, 'বর্তমানে সবচেয়ে বড় রোগ হচ্ছে বর্ণবাদ। প্রতিদিনই আমরা এর সঙ্গে  লড়াই করছি। করোনা মহামারীর মতো বর্ণবাদ নির্মূলের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।'

জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে অনেকবারই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন স্টার্লিংও। সিটির হয়ে ২০১৮ সালে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এবং পরের বছর বুলগেরিয়ায় ইংল্যান্ডের হয়ে ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার সময় বর্ণবাদী আক্রোশের শিকার হন তিনি। দুটি ঘটনার পরই এ আচরণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হওয়া বর্ণবাদবিরোধী মিছিল-সমাবেশ হচ্ছে। তাদের সমর্থন জানালেন স্টার্লিংও, 'আন্দোলনকারীরাও এই (বর্ণবাদ নির্মূলের) দাবিতেই রাস্তায় নেমেছেন। তারা এই অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। মানুষের জানমালের ক্ষতি না করে, শান্তিপূর্ণভাবে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।'

বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও ভাবছেন না স্টার্লিং, 'প্রথমত, আমি এসব বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আমার চাকরি নিয়ে ভাবি না, আমি ভাবি কোনটা ঠিক। এ ধরনের বর্ণবাদী আচরণ চুপ করে সহ্য করা আর সম্ভব নয়। এটা শত শত বছর ধরে চলছে। মানুষ বিষয়টি নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, এখন পরিবর্তন দরকার। আমাদের এখন বর্ণবাদ সম্পর্কিত নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে এবং পরিবর্তন আনতে হবে।'

গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে গ্রেফতারের সময় মারা যান জর্জ ফ্লয়েড। গ্রেফতারের সময় তার গলায় হাঁটু চাপা দিয়ে রাখেন পুলিশ। গলার ওপর থেকে হাঁটু সরানোর জন্য বারবার অনুনয় বিনয় করেন ফ্লয়েড। তবে তাতে সে পুলিশের মন গলেনি। ৮ মিনিটের বেশি সময় হাঁটু চাপা দিয়ে রাখলে এক সময় শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান এ বাস্কেটবল খেলোয়াড়। আর নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পরেই ফুঁসে ওঠেছেন সারা বিশ্বের নাগরিকরা।

Comments