পিয়ানিচের হৃদয় পড়ে আছে বার্সেলোনায়!
সেই ২০১৬ সালে তৎকালীন কোচ লুইস এনরিকে তাকে ন্যু ক্যাম্পে আনার চেষ্টা করছিলেন, তখন থেকেই স্বপ্ন দেখার শুরু। এরপর আরও কয়েকবার হতে হতেও হয়নি এ ট্রান্সফার। এখনও জুভেন্টাসেই আছেন মিরালেম পিয়ানিচ। কিন্তু চলতি মৌসুমে তার পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল বার্সেলোনা। তাতে স্বপ্নের পরিধিটা বেড়েছে। রীতিমতো বার্সেলোনায় নিজের মন প্রাণ সব দিয়ে ফেলেছেন বসনিয়ান তারকা!
কিন্তু নানা জটিলতায় এ চুক্তি অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সে সুযোগে সম্প্রতি পিয়ানিচকে কিনতে জুভেন্টাসকে প্রস্তাব দিয়েছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি ও ইংলিশ ক্লাব পিএসজিও। এছাড়া তার প্রতি আগ্রহ আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও। কিন্তু এ তাদেরকে না বলে দিয়েছিলেন পিয়ানিচ। ক্লাব বদলালে বার্সেলোনাতেই যাবেন, অন্যথায় তুরিনেই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা।
লিয়েন্দ্রো পারেদেসকে দিয়ে পিয়ানিচকে পেতে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পিএসজি। আর চেলসির সঙ্গে বিনিময় চুক্তিতে পিয়ানিচকে দিয়ে জর্জিনহোকে চেয়েছিলেন জুভ কোচ মাউরিজিও সারি। চেলসিও রাজি ছিল। কিন্তু পিয়ানিচ এক বার্সা ছাড়া কোথাও যেতে চান না। জুভেন্টাসে বেশ সুখেই আছেন। যদিও কোচ সারির নতুন পরিকল্পনায় তিনি নেই বলেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জুভেন্টাসের সঙ্গে পিয়ানিচের চুক্তি ২০২৩ সাল পর্যন্ত। তবে চলতি গ্রীষ্মে তাকে কেউ পেতে চাইলে গুনতে হবে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড। এ টাকায় হয়তো তাকে কিনে নিতে পারতো বার্সা। কিন্তু যতো ঝামেলা ওই করোনাভাইরাসের কারণে। কাতালান ক্লাবটি পড়ে গেছে দেনায়। সরাসরি অর্থ বিনিময় করে খেলোয়াড় কেন বেশ কঠিন তাদের জন্য। তার উপর রাডারে আছেন ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্তিনেজের মতো খেলোয়াড়ও।
তাই আর্তুরো ভিদাল, স্যামুয়েল উমতিতি, ইভান রাকিতিচের মতো খেলোয়াড়দের দিয়ে অদল-বদল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জুভেন্টাসের চাই আর্থুর মেলোকে। কিন্তু আর্থুর বার্সেলোনা ছাড়তে রাজি নন। ক্লাব ছাড়লেও ইতালিতে যেতে চান না। মূল সমস্যা সেখানেই। তাই আটকে আছে পিয়ানিচের স্বপ্ন।
Comments