যশোরে নকল স্যানিটাইজারে বাজার সয়লাব

যশোরের বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ ছাড়া, পরিচিত বিভিন্ন কোম্পানির জীবাণুনাশক পণ্যের আদলে তৈরি করা হচ্ছে নকল জীবাণুনাশক। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জীবাণুনাশক পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। আর এতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা।
Joshore_Hand_Sanitiser.jpg
যশোরের বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ছবি: স্টার

যশোরের বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ ছাড়া, পরিচিত বিভিন্ন কোম্পানির জীবাণুনাশক পণ্যের আদলে তৈরি করা হচ্ছে নকল জীবাণুনাশক। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জীবাণুনাশক পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। আর এতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল এলাকা, চিত্রার মোড়, কাপুড়িয়া পট্টি ও এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে নকল জীবণুনাশক পণ্য। ১০০ মিলি গ্রাম হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম নেওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা, ভিটাসল ১০০ টাকা, কেয়ার হেক্সিসল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৫০ মিলিগ্রামের দাম ৪০ টাকা, অ্যাকটিভ হ্যান্ডরাব ৫০ মিলিগ্রামের দাম ৫০ টাকা, হেক্সিরাব ৫০ মিলিগ্রাম ৬০ টাকা, ক্যাভলন এক লিটার ৩৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আইয়ুব হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অধিকাংশ পণ্যের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ নেই। বিদেশি পণ্যগুলো কোন প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে তাও নেই। আর কোনো কিছু যাচাই না করেই এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনছেন সাধারণ মানুষ।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘এ ধরনের নকল পণ্য ব্যবহারে চর্মরোগ, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। নকল ও অনিরাপদ পণ্য বিক্রি বন্ধে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Comments