অসচেতনতায় বান্দরবান শহরের করোনা ঝুঁকি বাড়িয়েছে
বান্দরবান শহরে গত ২৫ মে দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ জন। কিন্তু, ৯ জুন বান্দরবান শহরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জন। ফলে, করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন আজ দুপুর থেকে বান্দরবান শহরকে রেড জোন ঘোষণা করেছে।
তবে, এভাবে হঠাৎ করে প্রশাসনের রেড জোন ঘোষণা দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বান্দরবানের সিভিল সার্জন অং শৈ প্রু মারমার দাবি, স্থানীয়দের অসচেতনতার কারণেই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘আমাদের আইসিইউ, ভেন্টিলেটর কিছুই নেই, এমনকি পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারও নেই। এখন পরিস্থিতি খারাপ হলে অসহায় হয়ে পড়তে হবে’, বলেন সিভিল সার্জন।
গত ৬ জুন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর মন্ত্রীর সান্নিধ্যে আসা তার সহকারী, দুজন গৃহকর্মী, এবং এক জন মহিলা আ. লীগ নেত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
‘বান্দরবানের স্থানীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় পরের দিন তাকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করানো হয়। যে দিন মন্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেদিন তার বাসার সামনে প্রায় শ খানেক মানুষ ভিড় করে। ফলে, এতদিন নিরাপদ থাকা বান্দরবান শহর এখন ঝুঁকিতে পড়ে গেছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
‘করোনা আক্রান্ত মন্ত্রীর সান্নিধ্যে যারা এসেছিলেন তাদেরকে আমরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বললেও প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তা মানছেন না,’ বলেন সিভিল সার্জন।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেকই সেদিন সচেতনভাবে মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছিল।’
পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আজ থেকে আমরা পুরো শহরকে রেড জোন ঘোষণা করেছি, বলেন শামীম।
‘বান্দরবান সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে মাত্র ৪৫ টি‘, বলেন সিভিল সার্জন।
সরকারি তথ্য মতে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার মোট জনসংখ্যা চার লাখের বেশি।
Comments