১০০ মুক্তিযোদ্ধার অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অম্লান রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এক শ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
বইটি সম্পাদনা করেছেন বরগুনার প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক চিত্তরঞ্জন শীল। এতে উঠে এসেছে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
এ উদ্যোগ নেওয়ায় বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই স্মৃতিকথা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরবে। তা ছাড়া, মহান মুক্তিযুদ্ধের অকাট্য দলিল হিসেবেও বাংলাদেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে।
মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা বরগুনায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কিন্তু যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে এসব ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ইতিহার সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ বইটি করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।’
চিত্তরঞ্জন শীল বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছিল। যে রক্তের ঋণে আবদ্ধ এই বাংলাদেশ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যই জেলা প্রশাসনের এই অনন্য উদ্যোগ।’
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আ. রশিদ মিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দেশপ্রেমের মহান ব্রত নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। স্বাধীনতার এত বছরেও এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। জেলা প্রশাসক কর্তৃক এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস উঠে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথার মধ্য দিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বেঁচে থাকব এটাই বড় কথা।’
এ সময় বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর হোসেনসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
Comments