ইউনাইটেড হাসপাতালের আরও সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল: ফায়ার সার্ভিস ডিজি

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে আগুন লেগেছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
ইউনাইটেড হাসপাতালের আগুনে পাঁচ জন রোগীর মৃত্যু হয়। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে আগুন লেগেছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল।’

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল তাড়াহুড়ো করে কাজটি করেছে। এটি যেহেতু স্পর্শকাতর জায়গা, তারা জিনিসটি নিয়ে আরও সতর্ক হতে পারতো। সেখানে প্যাসিভ মেজারমেন্ট ছিল। অ্যাকটিভ মেজারমেন্ট নিলেই হয়তো ঘটনাটি ঘটতো না। ওখানে ভেতরে যারা কাজ করেছেন, তারা যদি একটু সতর্ক হতেন, তাহলে এ দুর্ঘটনাই হয়তো ঘটতো না।’

‘আসলে ইউনাইটেড হাসপাতাল যেহেতু এটা টেম্পোরারি করেছে, এ কারণে তারা শুধু টেম্পোরারি ফায়ার সিস্টেমের ব্যবস্থাই করেছে। সেনসিটিভ একটা জিনিস। তারা আরও সময় নিয়ে ভালো করে করতে পারতো’, বলেন তিনি।

মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত ক্লিয়ার। ওখানে যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছিল, সেখানে শর্টসার্কিট থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হয়েছে। তারপর অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নীচে বিছানায় পড়ে আগুন লেগেছে। তারপর পুরো ছড়িয়ে গেছে।’

এক্ষেত্রে ইউনাইটেড হাসপাতালের কোনো অবহেলা পরিলক্ষিত হয়েছে কী না? জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘ওইভাবে তো অবহেলা ছিল বলতে পারব না, যেহেতু করোনা ইউনিট মূল ভবনের বাইরে ছিল। তাদের মূল ভবনে তো ফায়ার সিস্টেম আছে। যেহেতু এটা টেম্পোরারি, তাই তারা টেম্পোরারি ব্যবস্থা নিয়েছে।’

‘যেহেতু করোনা চিকিৎসা চালুর জন্য সরকার তাড়া দিয়েছে, সেহেতু তারা সময় স্বল্পতার জন্য তাড়াহুড়ো করে কাজটি করেছে। তবে ব্যবস্থাটা আরও শক্ত হতে পারতো। তাই আমি বলি- তাড়াতাড়ি করা যাবে, কিন্তু তাড়াহুড়ো করা যাবে না’, বলেন তিনি।

Comments