নোয়াখালীতে মা-মেয়ে হত্যা: ১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি অপরাধীরা

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, মামলার বাদী ও নিহতের স্বজনরা দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

গত ২৮ মে রাতে নোয়াখালী সদরের কাজীরটেক গ্রামে স্বামীর প্রেমের বাধা দেওয়ায় স্ত্রী বিবি মরিয়ম আক্তার (২৫) ও তিন মাস বয়সী শিশু মায়মুনা আক্তার কে হত্যা করে ঘাতক স্বামী আকবর হোসেন বাবর। পরে স্ত্রীর মরদেহ বরই গাছে ঝুলিয়ে এবং শিশু সন্তানকে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখে পরিবারের লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক।

এ হত্যাকাণ্ডে আকবর হোসেন বাবরের সঙ্গে তার মা, ছোট ভাই ও বাবরের কথিত প্রেমিকা জড়িত ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পরদিন শুক্রবার সকালে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

এ জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৯ মে বিকেলে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অঙ্গাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন নিহত গৃহবধূর স্বামী আকবর হোসেন বাবর (৩০), তার ভাই, মা ও তার কথিত প্রেমিকা।

এ ঘটনার ১৫ দিন ও হত্যা মামলা দায়েরের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ৪ আসামির একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলার বাদী আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার নিরপরাধ বোন ও তার শিশু সন্তানকে রাতের আধারে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের কেউ ঘটনার ১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি। আমি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে সময় লাগছে। মামলার বাদীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে।’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে। প্রতি রাতেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামিরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপনে থাকায় তাদের অবস্থান জানতে ও গ্রেপ্তার করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

Comments

The Daily Star  | English

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

8h ago