শর্তসাপেক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ৭৯ দিন বন্ধ থাকার পর ১৩ দফা শর্তে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ভারত থেকে পাথর বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম দিনে কোন পণ্য রপ্তানি না হলেও ভুটান থেকে ৫৭টি এবং ভারত থেকে ৭টি পাথরবাহী ট্রাক বন্দরে এসেছে।
এসব গাড়িতে ভারত ও ভুটান থেকে ১হাজার ১০ মেট্রিকটন পাথর আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানাসহ জেলা প্রশাসন আরোপিত শর্তগুলো মানা হচ্ছে কিনা তা দিনভর পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহাসহ তদারকি কমিটিকে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম দিনে ভারত ও ভুটান থেকে পাথর নিয়ে আসা ট্রাক চালকরা পিপিই পড়েই বন্দরে প্রবেশ করেন।
বন্দরে প্রবেশের সময় গাড়ি চালকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপাসহ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা ও প্রতিটি পণ্যবাহী গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। গাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে তারা সরাসরি তাদের দেশে ফিরে যান ।
প্রথম দিনে কোন পণ্য রপ্তানি না হলেও পর্যায়ক্রমে তা শুরু হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
চতুর্দেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় এই স্থলবন্দরটি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৩ দফা শর্তে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ জেলা প্রশাসনের দেওয়া ১৩ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা বিদেশি ট্রাক চালকদের শূন্য রেখায় কাস্টমস এন্ট্রি পয়েন্টেই হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।
ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। চালকরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোন অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নামতে পারবেন না। প্রয়োজনে তারা পানিসহ শুকনো খাবার ও কাগজ কলম সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশি চালকদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা করবেন। তারা কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশে অবস্থান বা রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। চালকদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও বর্হিগমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে দিনে ১০০টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়া এসব তদারকি করার জন্য একটি মনিটরিং কমিটি থাকবে এবং বন্দরের সব কার্যক্রম ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) আওতায় থাকবে।
Comments