করোনামুক্ত 'কাউন্সিলর খোরশেদ ভাই'
করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন, সৎকারসহ নানা মহৎ উদ্যোগে এগিয়ে আসা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনামুক্ত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৩০ মে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে গতকাল শনিবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার করোনা টেস্ট নেগেটিভ হয়েছে। আবারো মানুষের পাশে থাকার সুযোগ দেওয়ায় আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জানাই। যারা আমার ও আমার স্ত্রীর সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
খোরশেদ আরো বলেন,‘পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার আগেও আমার মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ ছিল না। আর আমি করোনায় মরদেহ দাফন বা সৎকার করা কিংবা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, জীবাণুনাশক স্প্রে এসব কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হইনি। আমার স্ত্রীর গত ২২ মে করোনা শনাক্ত হয়। তখন পরিবারের সদস্য হিসেবে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তাতে করোনা শনাক্ত হয়। আমি স্কয়ার হাসপাতাল ও বাসায় ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে ছিলাম। আর এসময়ে আমি ফোনে আমার কার্যক্রম চালিয়ে গেছি।’
গত ৮ মার্চ থেকে করোনা সচেতনতায় লিফলেট, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছেন খোরশেদ। নতুন করে প্লাজমা ডোনার সংগ্রহ ও বিতরণে সহযোগিতা, অক্সিজেন সহায়তা, ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। যার মধ্যে ২৮ টাকা হালির ডিম ১২টাকায় বিক্রি কার্যক্রম ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
এছাড়াও গত ৮ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত, উপসর্গ আছে ও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন ৮১ জনের মরদেহ দাফন ও শেষকৃত্যের কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের শেষকৃত্যের জন্য পরিবার, আত্মীয় স্বজন কিংবা প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেনি। সেইসব লাশ দাফন ও সৎকার করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন খোরশেদ।
Comments