লকডাউনে বেড়েছে পারিবারিক নির্যাতন

সাধারণ ছুটি চলাকালে দেশে পারিবারিক ও যৌতুক সংক্রান্ত নির্যাতন ১০ শতাংশ বেড়েছে। এসময় ১৯৪টি ঘটনায় মারা গেছেন ১৫৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিসের বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) অপরাধ চিত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিপিও’র নিয়মিত ই-নিউজলেটারের আজ রোববারের সংখ্যায় পিসগ্রাফিক্সে বাংলাদেশে গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সংগঠিত ১০ ধরনের অপরাধের চিত্র তুলে ধরা হয়।
এগুলো হচ্ছে--নারীর প্রতি সহিংসতা (যৌন নিপীড়ন ও পারিবারিক নির্যাতন), শিশুর প্রতি সহিংসতা, অপহরণ, গণপিটুনি, বন্দুকযুদ্ধ, সীমান্ত ইস্যু, সহিংস চরমপন্থা, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও রোহিঙ্গা ইস্যু।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত অপরাধ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা ইনফোগ্রাফে বলা হয়, মে মাসে সবচেয়ে বেশি সংগঠিত অপরাধের মধ্যে রয়েছে ‘ লাঞ্ছনা বা হামলা’।
বিপিওর মতে, সংগঠিত অপরাধের মধ্যে ৪২ শতাংশ লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এরপর রয়েছে, সংঘর্ষ (৯ শতাংশ) এবং যৌন নিপীড়ন (৫ শতাংশ)।
সবচেয়ে কম সংগঠিত অপরাধের মধ্যে রয়েছে ‘অপহরণ’ (০.৭ শতাংশ), সহিংস প্রতিবাদ (০.৫ শতাংশ) ও গণপিটুনি (০.৪ শতাংশ)।
এতে আরও বলা হয়, গত ২০ মার্চের পর যৌন নিপীড়ণ কমেছে ৪২ শতাংশ। সারা দেশে সংগঠিত ৩৮৯ যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মারা গেছেন ২৮ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৩৯ জন।
জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত যৌন নিপীড়নের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বরিশাল বিভাগে। ‘লকডাউন’ ঘোষণার পর সিলেটে যৌন নিপীড়নের ঘটনা কমেছে ৭১ শতাংশ। তবে একই সময়ে চট্টগ্রামে যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে ৭ শতাংশ।
গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লকডাউন’ ঘোষণার পর সিলেট ও বরিশাল বিভাগে পারিবাহিক সহিংসতা তিন গুণ বেড়েছে।
এছাড়াও বিপিওর মতে, গত ২০ মার্চের পর শিশুর প্রতি সহিংসতা ১৪ শতাংশ কমেছে, যৌন ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা কমেছে ৩১ ভাগ।
এছাড়াও, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অপরাধ কমেছে ৫৯ শতাংশ, সহিংস চরমপন্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধ কমেছে ৬৪ শতাংশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে অপরাধ কমেছে ৬৯ শতাংশ, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ কমেছে ৮২ শতাংশ এবং নির্বাচনভিত্তিক সংঘাত কমেছে ৯৮ শতাংশ এবং ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কমেছে ৩৬ শতাংশ।
Comments