মানিকগঞ্জে আজ রাত থেকে কার্যকর হচ্ছে রেড জোন

মানিকগঞ্জ
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানিকগঞ্জের তিনটি উপজেলায় সাতটি রেড জোন নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বঘোষিত এসব রেড জোনে আজ রাত ৮টা থেকে কার্যকর হচ্ছে রেড জোন ঘোষিত আইন।

করোনা সংক্রমণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলার সাতটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণাপূর্বক একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। আজ রাত ৮টা থেকে থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত রেড জোন হচ্ছে- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা, পশ্চিম দাশড়া ও গঙ্গাধরপট্টি। ঘোষণা অনুযায়ী জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়ক, গার্লস স্কুল সড়ক, গঙ্গাধরপট্টি থানা রোড, খালপাড় থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আগ পর্যন্ত শহীদ স্মরণী ও মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থাকবে রেড জোনের আওতায়। এছাড়া, রেড জোনের আওতায় পড়েছে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোরা ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভা।

নির্দেশনা অনুযায়ী রেড জোন ঘোষিত এলাকার কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এসব এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন না। সকল ধরণের শপিং মল ও দোকান বন্ধ থাকবে। মসজিদে নামাজের সময় ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ পাঁচ জন এবং জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় কর্মরত ব্যক্তি ও তাদের বহনকারী যানবাহন।

উল্লিখিত রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে আরোপিত আইন বাস্তবায়নে তিনটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের ভিজিলেন্স টিম। সিংগাইর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামান, সাটুরিয়া উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাদিরা আখতার। প্রতিটি টিমে সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ থাকবে সার্বিক দায়িত্বে।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘আদেশে বর্ণিত সকল আইন কঠোরভাবে পালন করা হবে। ঘোষিত এলাকাগুলোর চারপাশে বেষ্টনীর মাধ্যমে আটকে দেওয়া হবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমান দোকান থাকবে। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দিবেন।’

রেড জোন ঘোষিত এলাকায় নির্দেশিত আইন মান্য করে চলতে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।

Comments

The Daily Star  | English

Rally begins near Jamuna demanding ban on Awami League

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

44m ago