বাংলাদেশে পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’, তাইওয়ানে ‘পজিটিভ’
বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ানে ফেরা এক দম্পতির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তারা করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তবে, সে সময় তাদের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
আজ মঙ্গলবার তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম তাইপেই টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
দ্য সেন্ট্রাল এপিডেমিক কমান্ড সেন্টারের (সিএসিসি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানে গতকাল করোনায় আক্রান্ত আরও দুই জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন শনাক্ত দুই জন স্বামী-স্ত্রী। তারা বাংলাদেশে কাজ করতেন। মালয়েশিয়া হয়ে গত ১৩ জুন তারা তাইওয়ানে নিজ বাসায় ফিরেছেন। গত ১ জুন থেকে তারাই প্রথম দেশের বাইরে থেকে আসা করোনা রোগী।
সিএসিসি’র মুখপাত্র ও দেশটির সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের (সিডিসি) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল চুয়াং জেন সিয়াং বলেন, ‘ওই দম্পতির মধ্যে স্বামীয় বয়স ৫০ এর ঘরে এবং স্ত্রীর বয়স ৪০ এর ঘরে। তাদের মধ্যে একজন জানুয়ারির শেষের দিকে ও অপরজন মার্চের শুরুর দিকে বাংলাদেশে গিয়েছেন।’
চুয়াং জানান, গত ২৩ মে ওই ব্যক্তির জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শরীরে ব্যথা শুরু হয়। এর দুই দিন পর তার স্ত্রীর জ্বর আসে। বাংলাদেশেই তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং তাদের মধ্যে একজন গত ২৫ মে ও অপরজন ২৮ মে বাংলাদেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়। ২৬ মে ওই ব্যক্তির উপসর্গ কমে যায় এবং ২৮ মে ও ২ জুন দুইবার তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। দুইবারই ফল নেগেটিভ আসে। আর তার স্ত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হয় ২ জুন। তার ফলও নেগেটিভ আসে। এরপর ২ জুন তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে তাইওয়ানে উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত (১২ জুন) তারা বাংলাদেশের বাসাতেই ছিলেন।
চুয়াং আরও জানান, তাইওয়ানে আসার সময় ফ্লাইটে তারা মাস্কসহ নিরাপদ পোশাক পরে ছিলেন। এখানে ফেরার পর তারা বন্ধু বা পরিবারের কারো সংস্পর্শে যাননি।
‘তারা যখন তাইওয়ানে পৌঁছান, তখন তাদের মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না। কিন্তু, বিমানবন্দরের কোয়ারেন্টিন অফিসারকে তারা করোনার উপসর্গ নিয়ে বাংলাদেশের হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারটি জানিয়েছিলেন। পরে আবার তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়’ বলেন তিনি।
চুয়াং জেন সিয়াং বলেন, ‘গতকাল তাদের করোনা শনাক্ত হয় এবং তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
‘এই দম্পতি যে ফ্লাইটে করে ফিরেছেন, সেখানে একই সারিতে বসা আরও ২৬ যাত্রীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে’, যোগ করেন চুয়াং।
সিএসিসি তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত টানা বিগত ৬৪ দিন তাইওয়ানে স্থানীয় সংক্রমণের হার শূন্যে রয়েছে।
Comments