গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর নয়: বিএসএমএমইউ, কিট কার্যকর- প্রতিবেদন পেয়ে প্রতিক্রিয়া: ড. বিজন
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট করোনাভাইরাস শনাক্তে কার্যকর নয় বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি।
অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মোট ৫০৯ জন রোগীর স্যাম্পলের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। এতে প্রথম সপ্তাহে মাত্র ১১ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তো আমরা কীভাবে বলি এই কিট কার্যকর। আমরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি এখনো বিএসএমএমইউর প্রতিবেদন হাতে পাইনি, আমাদের এখনো জানানো হয়নি। জানানো হলে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো নিশ্চিত যে আমাদের কিট করোনা শনাক্তে যথেষ্ট কার্যকর। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।’
ড. বিজন কুমার শীল আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট দিয়ে পরীক্ষা করেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ এসেছে। পরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও একই ফল আসে। এরপর আমাদের কিটের পরীক্ষাতেই আবার তার করোনা নেগেটিভ আসে এবং আরটি-পিসিআরেও একই ফল এসেছে। এমন কয়েক শ পরীক্ষা করে আমরা সঠিক ফল পেয়েছি। আমাদের কিট যে সঠিক ফল দেয়, তা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে বিএসএমএমইউর একটি নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট (এনডিএ) রয়েছে। আমরা এখনো বিএসএমএমইউ থেকে কোনো অফিসিয়াল বিস্তারিত রিপোর্ট পাইনি এবং আমাদের সঙ্গে এনডিএ অনুসারে কোনোপ্রকার আলোচনা করা হয়নি। এটি পেলেই পরবর্তীতে আমরা আমাদের মতামত বিএসএমএমইউকে জানাব।
এতে আরও বলা হয়, বিএসএমএমইউর মতামত অনুসারে কিট নিবন্ধন ও বিপণনের বিষয়ে বর্তমানে যা করার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত দেবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
Comments