চাকরি ছাড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ সদস্যরা

পুলিশি হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে আহ্বান জানানো হয়। সম্প্রতি, পুলিশ বিভাগে সংস্কার-সংক্রান্ত আদেশে সই করতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নেতারা।
ছবি: রয়টার্স

পুলিশি হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে আহ্বান জানানো হয়। সম্প্রতি, পুলিশ বিভাগে সংস্কার-সংক্রান্ত আদেশে সই করতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নেতারা।

সিএনএনের এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জনগণের ক্ষোভের মুখে মার্কিন পুলিশ বিভাগ এক ধরনের সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তারাই এখন চাকরি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের সংখ্যা বেড়েছে।

গত ২৫ মে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর মিনিয়াপোলিস শহরের অন্তত সাত পুলিশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এর বাইরে আরও অন্তত ছয় জনের পদত্যাগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরের এক মুখপাত্র ।

মিনিয়াপোলিস শহরের মুখপাত্র ক্যাসপার হিল বলেন, ‘জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত চার কর্মকর্তাদের হিসাবে ধরা হয়নি। ওই চার জনের বাইরে সাত কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র জন এল্ডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সংখ্যাগুলো বেশি হলেও এটার কারণে সমস্যা হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। মানুষ অগণিত কারণে চাকরি ছাড়েন। এমপিডিও (মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট) এর ব্যতিক্রম নয়।’

এদিকে, গত শুক্রবার আটলান্টায় পুলিশের গুলিতে রেশার্ড ব্রুকস নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের পর থেকে বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে আটলান্টা।

ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই ঘটনার পরপরই আটলান্টা পুলিশ প্রধান পদত্যাগ করেন। একজন সেকেন্ড অফিসার বর্তমানে প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন।

আটলান্টা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি মাসে তাদের বিভাগের আট পুলিশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কর্মীদের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে আমাদের বিভাগে প্রতি মাসে দুই থেকে ছয় জন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।’

দক্ষিণ ফ্লোরিডা শহরে পদত্যাগ করেছেন সোয়াট ইউনিটের ১০ কর্মকর্তা। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তারা চাকরি ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে নিউইয়র্কের বাফেলো শহর পুলিশের অন্তত ৬০ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।

সিএনএন জানায়, একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক বয়স্ক আন্দোলনকারীকে মাটির সঙ্গে ঠেসে ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন ওই দুই পুলিশ। এ ঘটনায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।

বাফেলো পুলিশ বেনেভোল্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জন ইভান্স বলেন, ‘দুই সদস্যকে বহিস্কার করায় ৫৭ জন ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। তাদের দাবি, বহিস্কার হওয়া ওই দুই সদস্য কেবল আদেশ পালন করছিলেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

2h ago