বেইজিংয়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ, ২৭ এলাকা লকডাউন

টানা প্রায় দুই মাস পর গত ১১ জুন থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বেইজিংয়ের ২৭টি এলাকাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করেছে চীন।
চীনের বেইজিংয়ে একটি পাইকারি বাজারে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। ছবি: রয়টার্স

টানা প্রায় দুই মাস পর গত ১১ জুন থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বেইজিংয়ের ২৭টি এলাকাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করেছে চীন।

বিবিসি জানায়, বুধবার, শহরটিতে আরও ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বেইজিংয়ে শনাক্ত হয়েছে ১৩৭ জন।

এর আগে ৫৭ দিন পর্যন্ত বেইজিংয়ে স্থানীয়ভাবে কেউ করোনা সংক্রমিত হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বেইজিংয়ের শিনফানদি নামে এক পাইকারি খাদ্যের বাজার থেকে নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এই বাজার থেকে শহরের ৮০ শতাংশ মাংস এবং শাকসবজি সরবরাহ করা হয়।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের অন্তত ২৭টি এলাকার মধ্যে ২৬টিকে মাঝারি, আর একটি এলাকা উঁচু মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই ২৭টি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। শহরের বাইরে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কম ঝুঁকিপূর্ণ ২৬টি এলাকার কেউ রাজধানীর বাইরে যেতে চাইলে তাকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ‘কোভিড নেগেটিভ’ হতে হবে।

এদিকে, সংক্রমণের মধ্যে বেইজিংয়ের করোনা পরীক্ষা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, অনেক মানুষ প্রতিদিন পরীক্ষার জন্য আসছেন। ইতোমধ্যে সবকয়টি সময়সূচি পূর্ণ হয়ে গেছে। জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত নতুন কারো নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব না।

এদিকে, দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের আশংকায় বেইজিং থেকে ১ হাজার ২০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ৯ জুলাই পর্যন্ত ট্রেন চলাচল অনেকাংশে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলো। এছাড়াও সুইমিং পুল, জিম ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আনা হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভাগ, কারখানা এখনো সচল রয়েছে।

Comments