পটুয়াখালীতে বেহাত হচ্ছে সরকারি ৬১ একর জমি

পটুয়াখালী শহরের টাউন বহালগাছিয়া এলাকায় সরকারের অধিগ্রহণকৃত ৬১.১৪ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। অবৈধ হাতবদল হয়ে এসব জমিতে উঠছে বহুতল ভবন। জেলা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালী শহরের টাউন বহালগাছিয়া এলাকায় সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মাণকাজ চলছে। ছবি: সোহরাব হোসেন

পটুয়াখালী শহরের টাউন বহালগাছিয়া এলাকায় সরকারের অধিগ্রহণকৃত ৬১.১৪ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। অবৈধ হাতবদল হয়ে এসব জমিতে উঠছে বহুতল ভবন। জেলা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৯৬১ সালে পটুয়াখালী জেলা সদর দপ্তর নির্মাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসনে বহালগাছিয়ায় ৬১.১৪ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের অর্থও দেওয়া  হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৬০ বছরেও ওই জমিতে কাউকে পূর্ণবাসন করা হয়নি। যা পরিত্যক্ত থাকে। জমির আগের ১৯৫ জন মালিক জমি তাদের অনুকূলে ফেরত চেয়ে ২০০৮ সালে পটুয়াখালী সদর উপজেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। ২০১৮ সালে মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত।

অভিযোগ আছে, মামলায় হেরে জমির আগের মালিকেরা অধিগ্রহণের আগের কাগজপত্র দিয়ে এসব জমি বিক্রি করতে শুরু করেন। ক্রেতারা সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এ পর্যন্ত ওই জমিতে তিন শতাধিক সেমিপাকা ও টিনসেড বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, এখন চলছে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ।

সরকারি অধিগ্রহণকৃত জমি কেন কিনেছেন জানতে চাইলে ক্রেতাদের একজন আব্দুল লতিফ জানান, গোলাম মোস্তফা নামে বিক্রেতার কাছ থেকে তিনি জমি কিনেছেন। বিক্রেতা তাকে আশ্বস্থ করেছেন যে মামলায় রায় পেয়ে তিনি এ জমি ফেরত পেয়েছেন। তবে পরে জানতে পেরেছি এটি সরকারি জমি।

জানতে চাইলে জমি বিক্রতা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ জমি এক সময়ে আমাদের পৈত্রিক জমি ছিল। সরকার অধিগ্রহণ করলেও তা অব্যবহৃত থাকায় আমরা জমির দাবিদার। তাই এ জমি বিক্রি করছি।’

জমির অপর ক্রেতা-বিক্রেতারা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজী হননি।

সরকারি জমি দখলের ব্যাপারে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশীদ বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য অফিসের উপসহকারী প্রকেৌশলী মো. রাকিব খানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইসব অবৈধ স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিষেধ না মানলে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago