স্বাস্থ্য বিভাগের ‘মিঠু সিন্ডিকেট’ ভাঙার অনুরোধ জানালেন সংসদ সদস্য একরামুল

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের ‘মিঠু সিন্ডিকেট’ ভাঙার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
গত ২২ জুন পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আজকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং ফেনী— এই তিন ডিস্ট্রিকের করোনা পরীক্ষা বন্ধ কিটের অভাবে। কিটের অভাবে এই বন্ধ হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। আমি (স্বাস্থ্য বিভাগ) আজগুবি বিভাগ বলেছিলাম দুই/তিন দিন আগে। এটা আজগুবি নয় মহা আজগুবি বিভাগ।’
ভিডিও পোস্টটির এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৩ হাজার ভিউ হয়েছে।
সেই পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘… আজকে (সোমবার) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি বলেছেন, আমাকে একজন বলল, উনি বলেছেন কিটের অভাব। কিন্তু, আমার জানা মতে, আমি জানি বাংলাদেশে তিনটা-চারটা কোম্পানি-ব্যবসায়ী, প্রায় ১০ লক্ষের মতো কিট তারা এনে রেখেছে। তারা দিতে পারছে না “মিঠু সিন্ডিকেটের” কারণে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের “মিঠু সিন্ডিকেট” যতক্ষণ পর্যন্ত ভাঙা না যাবে এই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কখনোই ভালো অবস্থানে থাকবে না।’
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, বাংলাদেশ থেকে দুই/তিন দিনের মধ্যে ক্যাসিনোকে ধ্বংস করেছেন আপনি, মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন, আমি আপনার কাছে অনুরোধ করব স্বাস্থ্যসেবার একজন কর্মী হিসেবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আপনি এই সিন্ডিকেটটা একটু ভাঙার ব্যবস্থা করুন স্বাস্থ্যসেবায়।’
‘স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যদি এই সিন্ডিকেটটা ভাঙতে পারেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ অনেক সুফল পাবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই মিঠু গংরা ওখানে সিন্ডিকেট করে ওখানে গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে কাবু করে রেখেছে। আমি আমার প্রাণের স্পন্দন আমার ছাত্রলীগ, ভালোবাসার যুবলীগ, আমার মাথার মুকুট আওয়ামী লীগ।’
তিনি নোয়াখালীর প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে করোনাবিরোধী সংগ্রাম কমিটি গঠন করার আহ্বানও জানান। বলেন, ‘নোয়াখালীর প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে আপনারা কমিটি গঠন করুন এবং করোনাবিরোধী সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। প্রয়োজনে বিরোধী দলের কেউ যদি আসতে চায়, তাদেরকে নিয়ে নিন।’
‘যে সব বাড়ি করোনা আক্রান্ত প্রত্যেকটা বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে দিন এবং ওখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিন যে, “এটা করোনা আক্রান্ত বাড়ি”। এই বাড়িতে কারো ঢোকা যাবে না, কারো বের হওয়া যাবে না।’
‘এটা আমার নির্দেশনা রইল আপনাদের কাছে নোয়াখালীর সকলের কাছে কোন এমপি কী বলল, কে কী বলল… আমি জেনারেল সেক্রেটারি অব নোয়াখালী ডিস্ট্রিক্ট আওয়ামী লীগ, আমি আপনাদের রিকোয়েস্ট করছি, নির্দেশনা দিচ্ছি, আপনারা গড়ে তুলন সংগ্রাম কমিটি এবং একটু মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা করে এই অদৃশ্য শত্রুর জন্যে (বিরুদ্ধে) মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। আমি মনে করি আপনার একটু দাঁড়ানো গোটা বাংলাদেশকে রক্ষা করবে,’ বলে যোগ করেন তিনি।
দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Comments