১৭ কার্টন সরকারি ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার, দম্পতি গ্রেপ্তার
লালমনিরহাট শহরের ড্রাইভারপাড়ার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সরকারি সিলযুক্ত ১৭টি কার্টন ভর্তি সরকারি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় গতকাল রাতে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি ওষুধ পাচারে জড়িত থাকায় বাসার মালিক আব্দুর রাজ্জাক রেজা ও তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনকে আটক করা হয়। রাতে মামলার পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘আটক আব্দুর রাজ্জাক রেজা ড্রাইভারপাড়ায় রেলওয়ের কোয়ার্টার ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চুরি হওয়া ওষুধ রেজা ও তার স্ত্রী বাজারে বিক্রি করতেন। উদ্ধার হওয়া ১৭ কার্টন সরকারি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। আটক দম্পতি স্বীকার করেছেন, আট বছর ধরে তারা এই পেশায় যুক্ত।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছয় মাস ধরে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালের স্টোরকে থেকে কোনো ওষুধ চুরি বা পাচারের ঘটনা ঘটেনি। যেহেতু সরকারি ওষুধ উদ্ধার হয়েছে তাই হাসপাতালের স্টোর রুম ভালোভাবে তল্লাশি করা হবে। কোনো ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট স্টাফের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সিন্ডিকেটে জড়িতদের নাম উঠে আসবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘গোয়েন্দা রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সরকারি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। সরকারি ওষুধ পাচার করে কালোবাজারে বিক্রিতে জড়িত সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।’
Comments