ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক লাপাত্তা, শেয়ার বিনিয়োগকারীরা বিপাকে

Crest Securities
ছবি: সংগৃহীত

বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাত করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক মো. শহিদ উল্লাহ পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এতে করে টানা দরপতনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আরও ক্ষতির মুখে পড়লেন।

এমন পরিস্থিতিতে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ও মালিকের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে ডিএসই।

গত মঙ্গলবার থেকে ব্রোকারেজ হাউসটি বন্ধ রয়েছে।

ডিএসই বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্রোকারেজ হাউসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে অন্তত ছয়টি ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করেছিল। তবে ডিএসই ব্রোকারেজ হাউস বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিয়েছে। যদিও এতে দীর্ঘসময় গ্রাহকদের টাকা আটকে ছিল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মুখপাত্র সাইফুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডিএসই-কে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

‘হাউসটিতে গ্রাহকদের শেয়ার ও অর্থের পরিমাণ কত ছিল, তা তদন্ত করে দেখবে ডিএসই,’ যোগ করেন তিনি।

ব্রোকারেজ হাউজটির মালিক মো. শহিদ উল্লাহ যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ডিএসই।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলকে এ প্রতিষ্ঠানের সব বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে বলেছে বলেও জানান ডিএসইর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ঢাকায় এর প্রধান শাখার অধীনে পল্টন ও জনসন রোডে দুটি বর্ধিত শাখার পাশাপাশি প্রগতি সরণী, নারায়ণগঞ্জের টানবাজার ও কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে তিনটি শাখা রয়েছে। এসব শাখা থেকে কয়েক হাজার বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনাবেচা করেন।

আব্দুল মালেক নামের এক বিনিয়োগকারী ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি সর্বশেষ গত সোমবার ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ থেকে শেয়ার বিক্রির অর্ডার দেন মোবাইল ফোনে। তবে বিক্রিত শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার হাউজটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদ উল্লাহর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদে বার্তারও কোন জবাব আসেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

16m ago