যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা ‘১০ গুণ বেশি’, অনুমান সিডিসির

ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা শনাক্তের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বলে অনুমান করছে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)।

দেশটির ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএন জানায়, আক্রান্তদের একটি বড় অংশ এখনো শনাক্তকরণের বাইরে রয়ে গেছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

তবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার খসড়া উপাত্ত থেকে সিডিসির অনুমান, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা এর ১০ গুণ বেশি হতে পারে।

সিডিসির পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড জানান, অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় দেখা গেছে দুই কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই নিজের অজান্তে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন।

মোট কতজন লোক নিজের অজান্তে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন তা যাচাই করতে দেশব্যাপী অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা।

খসড়া উপাত্ত থেকে রেডফিল্ডের অনুমান, করোনায় প্রতি ১০ জন আক্রান্তের মধ্যে এক জন শনাক্ত হচ্ছেন ও আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন। অঞ্চলভেদে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৫-৮ শতাংশের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

রেডফিল্ড জানান, একসময় যুক্তরাষ্ট্রের মহামারির ‘হটস্পট’ নিউইয়র্কের তুলনায় পশ্চিমে কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হতে পারে।

তিনি আরও জানান, শুরুর দিকে গুরুতর অসুস্থদের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে, কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত সংক্রমণের সংখ্যা হিসাবের বাইরে থেকে যেতে পারে।

রেডফিল্ড বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, একটি বড় অংশেরই করোনা সংক্রমণের হালকা উপসর্গ ছিল কিংবা একেবারেই উপসর্গহীন ছিলেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। অ্যালাব্যামা, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, আইডাহো, মিসিসিপি, মিসৌরি, নেভাডা, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলিনা ও ওয়োমিংয়ে এই সপ্তাহে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যায় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনা এবং নিউ মেক্সিকো লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে। টেক্সাসে এর আগেই লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা স্থগিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

Now