কলেজ নির্মাণে কাটা হলো ৯ লাখ ঘনফুট পাহাড়

প্রস্তাবিত একটা কলেজের জন্য জায়গা করতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরাণগড় ইউনিয়নে কাটা হয়েছে ৯ লাখ ঘনফুট পাহাড়। বেশ কয়েকটি সারিবদ্ধ পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরাণগড় ইউনিয়নে কাটা হয়েছে ৯ লাখ ঘনফুট পাহাড়। ছবিটি গতকাল শনিবার (২৭.৬.২০২০) তোলা। ছবি: মোস্তফা ইউসুফ

প্রস্তাবিত একটা কলেজের জন্য জায়গা করতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরাণগড় ইউনিয়নে কাটা হয়েছে ৯ লাখ ঘনফুট পাহাড়। বেশ কয়েকটি সারিবদ্ধ পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এ জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পাহাড় কাটার দায়িত্ব নিচ্ছেন না কেউ।

গত দুই মাস ধরে বড় খননযন্ত্র দিয়ে এসব পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শনে পাহাড় কাটার পেছনে চার জনের নাম উঠে এলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক জমির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে প্রায় ৯ লাখ ঘনফুট পাহাড় কেটে এক একরের মতো একটি নিচু জমি ভরাট করা হয়েছে।’

‘এ ঘটনায় আমরা চার জনকে শনাক্ত করেছি। তাদেরকে দ্রুত নোটিশ দেয়া হবে,’ বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান রাশেদ হোসেন শিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা মিলে একটা কলেজ নির্মাণের জন্য আমাদের কাছ থেকে জায়গা চেয়েছিল।’

‘এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে আমরা জায়গা দিয়েছি। জায়গাটা টিলা শ্রেণির। দেখলাম যে সেটা কাটা হয়েছে। বেশি কাটেনি যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু কাটা হয়েছে’, বলেন তিনি।

জানতে চাইলে পুরাণগড় ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান শিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কে বা কারা পাহাড় কেটেছে সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ মাটিগুলো কিনে নিয়েছে। এখন কে কোত্থেকে মাটি এনে দিয়েছে সেটার দায় তো কলেজ কর্তৃপক্ষের নয়।’

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলামের। তখন তিনি পাহাড় কাটার কাজে নিযুক্ত একটি এক্সকেভেটর জব্দ করেছিলেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the job is done

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

5h ago