বর্ণবাদের ক্ষেত্রেও ডোপিং বা ফিক্সিংয়ের মতো শাস্তি চান হোল্ডার

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গড়ে ওঠা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। তাতে সামিল হয়েছেন সব অঙ্গনের ক্রীড়াবিদরাও। খেলার মাঠে প্রায়ই বর্ণ বিদ্বেষের কথা শোনা যায়। ক্রিকেটেও যে এমনটা ঘটে, সে অভিযোগ তুলেছেন ড্যারেন সামি-ক্রিস গেইল-ডোয়াইন ব্রাভোরা। তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা।
তবে শুধু প্রতিবাদ জানিয়ে কিংবা আন্দোলন করে বর্ণবাদ থামানো যাবে না বলে মনে করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। বিষয়টির প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচ-ফিক্সিং করলে কিংবা ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে যেমন শাস্তি দেওয়া হয়, ঠিক তেমন শাস্তি চান তিনি।
অবশ্য আইসিসির নীতি অনুযায়ী এমন আইন আগে থেকেই রয়েছে। প্রথমবার মাঠে বর্ণ বিদ্বেষের জন্য চার থেকে আট ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় খেলোয়াড়দের নামের সঙ্গে। দ্বিতীয়বার আইন ভাঙলে কমপক্ষে একটি টেস্ট কিংবা দুটি ওয়ানডে কিংবা সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। আর তিনবার বর্ণবাদে যুক্ত থাকলে একজন খেলোয়াড় সারা জীবনের জন্যও নিষিদ্ধ হতে পারেন।
সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে বর্ণবাদকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেন হোল্ডার, 'আমার কাছে মনে হয় না বর্ণবাদের শাস্তির সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা ডোপিংয়ের (শাস্তির) কোনো পার্থক্য থাকা উচিত। আমি ক্রীড়াঙ্গনে এসব ইস্যু প্রায়ই দেখি। আমাদের এসব কিছু সমানভাবে দেখা দরকার।'
এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার আন্দিল ফেলুকওয়ায়োর উদ্দেশ্যে বর্ণবাদী মন্তব্য করায় দুটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে।
ঘরে ও বাইরে বর্ণ বিদ্বেষের স্বীকার হয়েছেন বলে অনেকবারই অভিযোগ করেছেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার। এছাড়া, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ভারতীয় সমর্থকদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে বর্ণবাদী আচরণ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মঈন আলি।
Comments