শচীন, সৌরভকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে দূরে রেখেছিলেন দ্রাবিড়!
ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ যখন এলো তখন অনেকটাই ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ভারতের তিন মেগাস্টার শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙুলি আর রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই তিন তারকাকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। আর তাদের না থাকার পেছনে নাকি বড় ভূমিকা ছিল দ্রাবিড়েরই।
দ্রাবিড় তখন ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক। কিন্তু মারকাটারি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিজেকে সড়গড় মনে করেননি তিনি। সেবার বিশ্বকাপে তাই অধিনায়ক বানিয়ে পাঠানো হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। দ্রাবিড় নিজে তো খেলননি, বাকি দুই সিনিয়র শচীন ও সৌরভকেও খেলতে দেননি।
এমন কথাই এতদিন পর খোলাসা করেছেন তখনকার ভারতীয় দলের কোচ লালচাঁদ রাজপুত। স্পোর্টসকিডার ফেসবুক পেজে হাজির হয়ে লালচাঁদ বলেন দ্রাবিড়ের ছকেই সাজানো হয়েছিল বিশ্বকাপের সে দল, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য। (রাহুল শচীন ও সৌরভকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মানা করেছিলেন)।’
‘ইংল্যান্ড সফরে রাহুল অধিনায়ক ছিল। এবং কয়েকজন খেলোয়াড় ইংল্যান্ড থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে জোহেন্সবার্গ যায়। তখন রাহুল বলে সুযোগটা তরুণদের দেওয়া উচিত।’
ধোনির নেতৃত্বে সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নাকি লালচাঁদের কাছে সেই দলে থাকতে না পারার আফসোস করেছিলেন শচীন,‘ শচীন আমাকে বলছিল আমি এতবছর খেলছি এখনো একটা বিশ্বকাপ জিততে পারলাম না। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে সে বিশ্বকাপ জিতেছে।’
অবশ্য রাহুলের পরামর্শে তৈরি দলই আনে বড় সাফল্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই মাত করে ভারত। খুলে যায় এই সংস্করণের বিশাল বাজারও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঝারিমানের কোচ হিসেবে পরিচিত ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার মনে করেন, তরুণ দল হওয়ায় সেবার চ্যালেঞ্জ ছিল কঠিন, ‘২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমি দায়িত্বে ছিলাম। এটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ দল ছিল তরুণ। কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু মূল সিনিয়র তারকারা কেউ দলের সঙ্গে ছিল না। কোচ হিসেবে আমার প্রথম কোন সুযোগ ছিলো। ধোনিও অধিনায়ক হিসেবে নতুন ছিল।’
Comments