মেঘনা নদীতে বালুকাটা বন্ধে উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মতলব উত্তর অংশে ১৯টি মৌজায় বালুকাটা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
Meghna erosion
মেঘনার ভাঙ্গন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মতলব উত্তর অংশে ১৯টি মৌজায় বালুকাটা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

গত ২৩ জুন বিচারপতি জেবিএম হাসান এই স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

জানা যায়, কয়েক বছর যাবত একটি মহল মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন। এতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পসহ মতলব উত্তর উপজেলা মেঘনার ভাঙনে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সেচ প্রকল্পের ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য এবং মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ আন্দোলন করে আসছেন। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নুরুল আমিন রুহুল ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেন। কিন্তু এরপরও বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকে।

পরবর্তীতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাসিন্দা ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। এই রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট গত ২৩ জুন মেঘনা নদীর ১৯টি মৌজায় বালু উত্তোলন বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের মৌজাগুলো হচ্ছে- জহিরাবাদ, জয়পুর, নাওভাঙ্গা, উত্তর পোয়ারচর, এখলাছপুর, হোগলা হাশিমপুর, নীলেরচর, মোহনপুর, বাহের চর, বোরচর, চর ইলিয়ট, রাম গোপালপুর, কাউয়ারচর, বাহাদুরপুর, কালীগঞ্জ দিয়ারা, চর সুগন্ধি, ষাটনল, নাসিরাকান্দি এবং নাপিতমারা চর।

মতলব উত্তরের মোহনপুরের কাজী বাড়িতে আজ স্থানীয় সাংবাদিকদের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিট পিটিশনকারী কাজী মিজানুর রহমান।

কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘মামলা পরিচালনা করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সফিক আহম্মেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাড. মাহবুব সফিক ও মনিরুজ্জামান।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago