বরিশালে বাসদের উদ্যোগে অক্সিজেন ব্যাংক

ছবি: স্টার

‘বিনা অক্সিজেনে ঝরে পড়বে না কোনো প্রাণ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের উদ্যোগে বরিশালে চালু হয়েছে অক্সিজেন ব্যাংক।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় নগরের ফকির বাড়ী রোডস্থ বাসদ বরিশাল জেলা কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন বাসদ বরিশাল জেলার আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন।

ইমরান হাবিব রুমন বলেন, ‘যেসব রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য প্রথমে অক্সিজেন ব্যাংক থেকে পালস অক্সিমিটার মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে পালস অক্সিমিটারের রিডিং দেখে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেব। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ৩০টি পালস অক্সিমিটার নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ১০০ পালস অক্সিমিটার দিয়ে এই সেবা বৃদ্ধির পরিকল্পনা আছে।’

বাসদ জেলা ও মহানগর কমিটির সদস্য সচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘বরিশালে আনেকেই করোনা টেস্ট করোতে পারছেন না। অনেকেই চিকিৎসা না নিয়েই মৃত্যুবরণ করছেন, অনেকেই অক্সিজেনের অভাবে ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। আমরা আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দিতে চাই না। এ কারণেই অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছি। ধনাঢ্যদের কাছে আবেদন আপনারও এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসুন, তাহলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।’

ইমরান হাবিব রুমন বলেন, ‘বর্তমানে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৮১ ভাগ রোগী রাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৪ ভাগ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পালস অক্সিমিটারের সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা একটি এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছি। দু’একদিনের মধ্যে সেটিও চালু করা হবে।’

এ সময় বাসাদের নেতাকর্মীরা বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অবিস্থিত আম্বিয়া হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য বাসদকে দেওয়ার আহবান জানান।

তারা বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল আছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আম্বিয়া হআসপাতালটি করোনা চিকিৎসার জন্য চেয়েছিলাম। বর্তমানে বরিশালে ৭০ ভাগ টেলোলজিস্টের চাকরি নেই। এরা ডায়াগনস্টিক

সেন্টারে কর্মরত ছিল। আমরা তাদেরকে নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু, তাও আমরা পাইনি।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago