অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে ড্র করে ফিকে বার্সার শিরোপা স্বপ্ন

আরও একটি হতাশার গল্প ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার জন্য। আবারও পয়েন্ট খুইয়েছে তারা। প্রতিপক্ষ যদিও শক্তিশালী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। তবে লা লিগায় টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচ জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। সে কাজটি করতে পারেনি তারা। দুই দুইবার এগিয়ে থেকেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাতালানদের। ন্যু ক্যাম্পে গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটি ড্র হয় ২-২ গোলে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিরতির পর ফের খেলা শুরু হওয়ার পর শেষ চার ম্যাচে এটা তাদের তৃতীয় ড্র। এদিন জিতলে ক্ষণস্থায়ীভাবে শীর্ষে ফিরতে পারতো বার্সেলোনা। যদিও তা কেবল রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী ম্যাচের আগ পর্যন্ত। তারপরও জয় পেলে কিছুটা হলেও চাপে থাকতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। তবে পয়েন্ট খোয়ানোয় বড় সুবিধা পেল রিয়াল। একটি ম্যাচে হারলেও শীর্ষে থাকবে তারা। ৩২ ম্যাচেই তাদের সংগ্রহ ৭১ পয়েন্ট। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সার সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাতলেতিকোর পয়েন্ট ৫৮।
মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারতো বার্সা। সাউলের নেওয়া ফ্রিকিকে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতেন দিয়াগো কস্তা। কিন্তু অল্পের জন্য বলের নাগাল পাননি তিনি। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন ইভান রাকিতিচ। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক জন ওবলাক।
১১তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মেসির নেওয়া কর্নার কিক ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন কস্তা। অথচ এর আগেই মেসির ফ্রিকিক একই জায়গা থেকে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন এ ফরোয়ার্ড।
আট মিনিট পরই সমতায় ফেরে সফরকারীরা। সফল স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান সাউল নিগুয়েজ। ডি-বক্সের মধ্যে জানিক কারাস্কোকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে এর আগে স্পটকিক নিয়েছিলেন কস্তা। তার শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রেস টের স্টেগেন। কিন্তু পরে ভিএআরে দেখা যায় কস্তা শট নেওয়ার আগেই গোললাইন থেকে এগিয়ে যান স্টেগেন। যে কারণে হলুদ কার্ডও দেখতে হয় তাকে।
২২তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। রিকি পুচের কাটব্যাক থেকে পাওয়া বলে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। যত মিনিট পর জর্দি আলবার কাটব্যাক থেকেও ভালো সুযোগ ছিল মেসির। কিন্তু এবারও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি বার্সা অধিনায়ক। ৪২তম মিনিটে মেসির নেওয়া ফ্রিকিক এক খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে দিক বদলে লক্ষ্যেই দিকেই যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক ওবলাক।
দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিট পার হতেই ফের ব্যবধান বাড়ায় বার্সা। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে এটা তার ৭০০তম গোল। তবে ৫৫তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন কস্তা। ডান প্রান্ত থেকে সান্তিয়াগো আরিয়াসের ক্রস একেবারে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল পুচের। মেসির বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতেন এ তরুণ।
তবে ৬২তম মিনিটে ফের সমতায় ফিরে অ্যাতলেতিকো। ডি-বক্সে কারাস্কোকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরও একটি সফল স্পটকিকে বল জালে জড়ান সাউল। যদিও ঝাঁপিয়ে পড়ে বল হাতে লাগিয়েছিলেন স্টেগেন। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ৭৫তম মিনিটে আলবার ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ভিদাল। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। এরপরও বেশ কিছু সুযোগ ছিল দুই দলের। কিন্তু কেউ জালের দেখা না পাওয়ায় ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Comments