হাসপাতালটিতে কেবল চুরি নয়, পুকুরচুরি হয়েছে: সেলিম ওসমান
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। যিনি একইসঙ্গে হাসপাতালটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
বৃহস্পতিবার শহরের খানপুরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটিতে কেবল চুরি নয়, পুকুরচুরি হয়েছে।’
সেলিম ওসমান অভিযোগ করেন, ‘এ হাসপাতালের একজন টাইপিস্ট থেকে তত্ত্বাবধায়কের পিএস হয়ে গেলেন। তার জন্য কোন তত্ত্বাবধায়কই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতো না। আমি তদন্ত চেয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। কেন তাকে রাজশাহী পাঠিয়ে দেওয়া হলো? কেন তার বিচার নারায়ণগঞ্জ শহরে হবে না? যার নাকি আমার জানা মতে, নারায়ণগঞ্জে ৩টি বাড়ি আছে, বিভিন্ন ক্লিনিকে শেয়ার রয়েছে।’
তিনি বলেন, আমার জানামতে হাসপাতালে ১০০ টাকার সরঞ্জাম ১৫০০ টাকায় সরবরাহ, রোগীদের খাবারে অনিয়ম হয়েছে। একটি গভীর নলকূপ বসানোর পরও কেন আরেকটি গভীর নলকূপ বসানো হলো। কারণ ওইটার মধ্যে ঠিকাদারী আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেখিয়ে দেবো অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অডিট করতে হবে। এটা চুরি না, এটা পুকুরচুরি হয়েছে।’
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চুরি যারা করেছেন তাদের প্রত্যেকের নাম তদন্তের পর প্রকাশ করা হবে।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহন করবে। যদি আমাদের কাছে লিখিত কোন অভিযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমরাও সেটি ডিজি হেলথের কাছে পাঠিয়ে দেবো। কিংবা হাসপাতালের সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। কারণ হাসপাতালটি আমাদের অধীনে না।’
প্রসঙ্গত ৩০০ শয্যা হাসপাতাল সুপারের ব্যক্তিগত পিএ সিদ্দিকুর রহমানকে গত ২৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে বদলি করে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।
সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Comments