হত্যার পর মরদেহ ড্রামে ঢুকিয়ে ফেলে দেওয়া হয় মাছের খামারে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি মাছের খামারের পানিতে ড্রামের ভেতর থেকে হেকমত আলী নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার তিন মাস পর আজ বিকেলে উপজেলার কেশাব এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি মাছের খামারের পানিতে ড্রামের ভেতর থেকে হেকমত আলী নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার তিন মাস পর আজ বিকেলে উপজেলার কেশাব এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত হেকমত (৪০) কালাদি এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে। তিনি ভুলতা নুর ম্যানশন মার্কেটে মোটর পার্টসের দোকান হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ জানান, ‘গত ৪ এপ্রিল সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন হেকমত আলী। ১৪ এপ্রিল দোকানের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম সবুজ, তার ভাই মাহফুজুর রহমান, মামুন মিয়া ও বাবা ইয়াকুব মোল্লাকে আসামি করে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মামলা করেন হেকমতের স্ত্রী রোকসানা বেগম। আসামিদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তারের পরও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি রূপগঞ্জ পুলিশ। পরে মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম সবুজকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানায়, শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বস্তাবন্দী লাশ ড্রামের ভেতরে ঢুকিয়ে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সেটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়া হয়। তিন মাস পর আজ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

আলিফ আরও বলেন, ‘সবুজ একা এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, ৪ এপ্রিল সকালে সবুজের জন্য কনে দেখতে যাবার কথা বলে সে আমার স্বামীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আর বাড়ি ফিরেননি। শুরু থেকেই সবুজ বলছিল সে কিছু জানে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘দোকানের কর্মচারী হলেও সবুজ প্রায়ই ব্যবসার অংশীদার হওয়ার দাবি করত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ব্যবসার লোভেই আমার স্বামীকে সে হত্যা করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago