‘প্লাজমা’ সহায়তার নামে অভিনব প্রতারণা

‘প্লাজমা’ সহায়তার নামে কয়েকটি প্রতারণা চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসব চক্রের সদস্যরা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা রোগীদের বাঁচাতে প্লাজমার (রক্ত রস) সন্ধান করা ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর নিজেদের করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার দাবি করে সাহায্য প্রার্থীদের ফোন করে প্লাজমা দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় প্রতারিত করে।
ওই চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে ডিবি। ছবি: সংগৃহীত

‘প্লাজমা’ সহায়তার নামে কয়েকটি প্রতারণা চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসব চক্রের সদস্যরা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা রোগীদের বাঁচাতে প্লাজমার (রক্ত রস) সন্ধান করা ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর নিজেদের করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার দাবি করে সাহায্য প্রার্থীদের ফোন করে প্লাজমা দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় প্রতারিত করে।

গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাহায্য প্রার্থীদের কাছে এসব চক্রের সদস্যরা রোগী পর্যন্ত পৌঁছাতে যাতায়াত এবং খাবারের খরচ বাবদ অগ্রিম অর্থ দাবি করে। ভুক্তভোগীরা তাদের মোবাইল একাউন্টে অর্থ পাঠানোর পরেই তারা ওই নম্বরটি বন্ধ করে কিংবা ব্লক করে দেন। এরপর আবার নতুন কাউকে খুঁজতে থাকেন।

এ রকম প্রায় ছয়টি সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করেছে ডিবি পুলিশ। যারা এই উদ্ভাবনী প্রতারণার মাধ্যমে অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মুজিব আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘যারা দুর্লভ রক্ত যেমন ‘ও’ নেগেটিভ কিংবা ‘বি’ নেগেটিভ এর প্লাজমার সাহায্য চেয়ে বিজ্ঞাপন কিংবা পোস্ট দেন চক্রের সদস্যরা তাদের লক্ষ্যবস্তু করে থাকে।

এই চক্রের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে রাজধানীর মতিঝিল থেকে গতকাল রাতে শরিফ খান বাবু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ডিবির সহকারী কমিশনার বলেন, ‘ফেসবুক গ্রুপ ‘বাংলাদশে প্লাজমা ব্যাংক’ এর অ্যাডমিন প্রথম আমাদের এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে জানায়। এই গ্রপে প্রায় দুই লাখ সদস্য আছে। গ্রুপের কিছু সদস্য প্লাজমা সাহায্য চেয়ে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে।’

এ সময় ওই গ্রপের অ্যাডমিন পুলিশকে ২২টি মোবাইল নম্বর দেন।

অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ বাবুকে আটক করে। তিনি বিভিন্ন সময়ে ৬টি মোবাইল ব্যবহার করে তিন জন ভুক্তভোগীর কাছ অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসি পাটোয়ারী বলেন, ‘এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে সাহায্য প্রার্থীর অবস্থান জানতে চান। যদি সাহায্য প্রার্থীরা ঢাকায় অবস্থানের কথা বলেন, তাহলে চক্রের সদস্যরা তাদের অবস্থান দূরে বলে উল্লেখ করে। এরপর সেখানে থেকে ঢাকায় আসার গাড়ী ভাড়া ও খাবারের খরচ বাবদ অগ্রিম টাকা দাবি করে। এজন্য  তারা ১০ থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত টাকা নিয়ে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রুপের প্রায় একাধিক সদস্য সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। প্রযুক্তিগত ডাটাবেস পর্যালোচনায় দেখা গেছে তারা ঢাকা, খুলনা, রংপুর এবং রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থান করছেন। যারা ঢাকায় আছেন তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে এবং ঢাকার বাইরের অবস্থানকারীদের আটকে জেলা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’

প্লাজমা সন্ধানকারীদের অচেনা কাউকে বিশ্বাস করে টাকা না দেওয়ার অনুরোধ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago