শীর্ষ খবর

লালমনিরহাটে আবারো বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি

ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে লালমনিরহাটে আবারো বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। আজ শনিবার সকাল থেকে হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Balapara_Lalmonirhat.jpg
বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী গ্রাম বালাপাড়ার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন। ছবি: স্টার

ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে লালমনিরহাটে আবারো বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। আজ শনিবার সকাল থেকে হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারো তলিয়ে গেছে চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এর আগে বাড়ি-ঘরে পানি জমে যাওয়ায় চার থেকে পাঁচ দিন তারা বাঁধে ছিলেন। বাড়ি ফেরার দুদিন পরে আবারো তাদের ঘর ছাড়তে হবে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুহিবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাতে উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তা ব্যারেজে পানির চাপ বেড়েছে। তাই তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।’

হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের হাজার হাজার চরবাসী অসহায় অবস্থায় পড়েছেন।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিন্তা নদীর তীরবর্তী বালাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বাড়ি-ঘরে তিস্তার পানি ওঠায় রান্নার চুলা ও নলকূপ ডুবে গেছে। পরিবারের লোকজনের খাবারের জন্য একটি কাঁঠাল কিছু শুকনা খাবার চিড়া, মুড়ি ও চিনি নিয়ে এসেছি।’

একই ইউনিয়নের চর নরসিংহ এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাঁচ দিন সরকারি রাস্তায় থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরেছিলাম। আবারো তিস্তার পানিতে বাড়ি-ঘরে উঠেছে।’

Comments

The Daily Star  | English
Raushan Ershad

Raushan Ershad says she won’t participate in polls

Leader of the Opposition and JP Chief Patron Raushan Ershad today said she will not participate in the upcoming election

1h ago