শচীনকে প্রথম দেখার স্মৃতি মনে করলেন ওয়াকার

১৯৮৯ সাল। ভারতের পাকিস্তান সফরে করাচি টেস্টে একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকার ও ওয়াকার ইউনুসের।
waqar sachin
ছবি: এএফপি

১৯৮৯ সাল। ভারতের পাকিস্তান সফরে করাচি টেস্টে একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকার ও ওয়াকার ইউনুসের। যথাক্রমে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে পরে দুজনেই হয়েছেন কিংবদন্তি। তখনকার স্কুল-পড়ুয়া শচীনকে দেখার স্মৃতি স্মরণ করেছেন গতির ঝড় তুলে ক্রিকেটে আসা ওয়াকার।

সম্প্রতি ‘গ্রেটেস্ট রাইভ্যালরি’ পডকাস্টে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারের শুরুর দিক নিয়ে আলোচনা ওঠে। প্রাসঙ্গিকভাবেই ওয়াকার স্মরণ করেন ওই সময়ের কথা, ‘শচীন সম্পর্কে পুরো ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল বলাবলি করছিল যে, কতটা দারুণ সে। সে তখন কেবলই স্কুলে পড়ে। তখনই নাকি ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। স্কুলে ট্রিপল সেঞ্চুরি! ওই বয়সে সেঞ্চুরি করাই বিশাল ব্যাপার।’

‘আমরা জানতাম কম বয়সী দারুণ একটা ছেলে আছে ওদের দলে। প্রথম দেখায় টের পাইনি আজকের শচীন টেন্ডুলকার হতে পারে। পরে সে বছরের পর বছর যা করেছে তা অভাবনীয়। মাঠে বা মাঠের বাইরে দেখে মনে হয়নি সে কত বড় নাম হতে চলেছে। তার কঠোর পরিশ্রম তাকে সেই জায়গায় নিয়ে গেছে।’

করাচিতে চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতেই অভিষেক হয় ১৬ বছরের শচীন ও ১৭ বছরের ওয়াকারের। ডানহাতি ওয়াকারের বলেই প্রথমবার আউট হন শচীন। তবে এর মাঝেই দেখান কিছু মুন্সিয়ানা। ওই সিরিজে বড় রান না পেলেও নিজের সামর্থ্যের ঝলক ঠিকই দেখিয়েছিলেন মাস্টার ব্যাটসম্যান, ‘করাচিতে ছিল প্রথম টেস্ট। আমি তাকে শুরুতেই আউট করি। আমার মনে হয় সে ১৫ রান করেছিল। কিন্তু ১৫ রানের মধ্যেই সেই একাধিক নান্দনিক কাভার ড্রাইভ ও স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেছিল। সিরিজে পরে বেশি রান করেনি। কিন্তু শিয়ালকোটে দ্বিতীয় যে ফিফটিটা (প্রথম ফিফটি ফয়সালাবাদে) করেছিল, সে উইকেট ছিল একদম ঘাসে ভরা।’

প্রথম তিন টেস্টই ড্র হওয়ায় ফলের খোঁজে ছিল পাকিস্তান। শিয়ালকোটে শেষ ম্যাচে বানানো হয়েছিল ঘাসে ভরা উইকেট। সেই বিরূপ পরিস্থিতিও কিশোর বয়সে দারুণভাবে সামলে ফেলেছিলেন শচীন আর ওই টেস্টও ড্র করে দেশে ফিরতে পেরেছিল ভারত, ‘আমাদের ফল দরকার ছিল। সেজন্য ঘাসে ভরা উইকেট বানানো হয়েছিল। সে ইনিংসের শুরুর দিকে এলো। মাত্র ১৬ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে, কিন্তু কী নিবেদন! মনে আছে সিধু (নবজোত সিং) তখন আরেক প্রান্তে। পাঁচ-সাত মিনিট সময় নেওয়ার পরই জড়তা ভেঙে খেলতে লাগল (শচীন)। কী অসামান্য ব্যাটিং। ওই ফিফটিতেই তার ক্লাস টের পাওয়া গেছে। আমরা তখনই বুঝে গিয়েছিলাম সে বিশেষ কেউ হতে চলেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago