৪৩ বারের চেষ্টায় সফল হলেন রোনালদো
হয়েও যেন হচ্ছিল না। জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর ফ্রিকিক থেকে সরাসরি গোলটা যেন সোনার হরিণের মতো দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন। আগের দিন তোরিনোর বিপক্ষে ৪-১ গোলের উড়ন্ত জয়ে ফ্রিকিক থেকে গোল পেয়েছেন পাঁচ বারের ব্যলন ডি'অর জয়ী এ তারকা। আর তাতে ছুঁয়েছেন ৬০ বছরের রেকর্ডও।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ৬১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পান রোনালদো। দারুণ এক ফ্রি-কিকে চলতি আসরে নিজের ২৫তম গোলের স্বাদও নেন তিনি। সবশেষ ১৯৬০-৬১ মৌসুমে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে কোনো খেলোয়াড় এক মৌসুমে লিগে এতোগুলো গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ওমর সিভোরি। তবে এ রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তার। লিগে এখনও তাদের বাকি আট ম্যাচ।
ফ্রি কিক থেকে গোল পেতে অপেক্ষার প্রহরটা বেশ লম্বা হয়েছে রোনালদোর। এ জন্য ৪৩টি শট নিতে হয়েছে তাকে। এর আগে ৪২ বার ফ্রিকিক নিয়ে বল জালে জড়াতে পারেননি এ তারকা। অথচ এক সময় মুড়িমুড়কির মতো ফ্রিকিক থেকে গোল পেতেন এ ফরোয়ার্ড। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ফ্রিকিক গোল পাওয়ার রেকর্ডটি যে তারই।
ফ্রিকিক থেকে গোল না পাওয়ার হতাশাটা অবশ্য জুভেন্টাসের জার্সিতেই শুরু নয়, রিয়ালে থাকা অবস্থায় শুরু। রিয়ালের হয়ে ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে মাত্র ১টি গোল দিতে পেরেছিলেন ফ্রিকিক থেকে। লা লিগায় ৩০১টি ফ্রিকিক নিয়ে ২০টি গোল পেয়েছিলেন রোনালদো। সবমিলিয়ে রিয়ালের জার্সিতে ফ্রিকিক গোল পেয়েছেন ৩২টি। ম্যানইউর হয়ে পেয়েছেন ১৩টি।
দুই বছরের অপেক্ষা শেষে ফ্রিকিক থেকে গোল পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে রোনালদোর। স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, 'আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আমার সত্যিই ফ্রিকিক থেকে গোল প্রয়োজন ছিল। এটা অনেক কঠিন ম্যাচ ছিল, তবে আমরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি, জিতেছি এবং লাৎসিওকে চাপে ফেলে দিয়েছি। আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছি।'
ফ্রিকিক থেকে রোনালদোর গোল পাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন তার কোচ মাউরিসিও সারিও। যদিও ফ্রিকিক থেকে গোল না পাওয়াকে কোনো সমস্যা মনে হয়নি তার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'সত্যি বলতে কি আমার হয় না এটা (কোনো সমস্যা) তবে ম্যাচ শেষে সে আমার কাছে এসেছে এবং বলেছে "অবশেষে"।'
Comments