রোনালদোদের পথ সহজ করে দিলেন ইব্রাহিমাভিচরা

ইতালিয়ান সিরি আয় শেষ আট মৌসুমে একক আধিপত্য বজায় রেখে শিরোপা জিতে আসছে জুভেন্টাস। তাদের আটকাতে পারছে না কোনো দলই। তবে চলতি মৌসুমে এ লিগ বেশ জমে উঠেছিল। শুরুতে দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছিল ইন্টার মিলান। মাঝপথে খেই হারায় দলটি। এরপর লড়াইয়ে সামিল হয় লাৎসিও। জুভদের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছিল দলটি। তবে শিরোপাস্বপ্ন প্রায় শেষ করে দিয়েছে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এসি মিলান।
ছবি: এএফপি

ইতালিয়ান সিরি আয় শেষ আট মৌসুমে একক আধিপত্য বজায় রেখে শিরোপা জিতে আসছে জুভেন্টাস। তাদের আটকাতে পারছে না কোনো দলই। তবে চলতি মৌসুমে এ লিগ বেশ জমে উঠেছিল। শুরুতে দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছিল ইন্টার মিলান। মাঝপথে খেই হারায় দলটি। এরপর লড়াইয়ে সামিল হয় লাৎসিও। জুভদের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছিল দলটি। তবে শিরোপাস্বপ্ন প্রায় শেষ করে দিয়েছে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এসি মিলান।

করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে সিরি আয় জুভেন্টাস থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল লাৎসিও। কিন্তু তিন মাসেরও বেশি সময়ের বিরতির ফিরে এসে ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তারা। শুরুতেই হেরে যায় আতালান্তার কাছে। এরপর আগের দিন অপেক্ষাকৃত দুর্বল মিলানের কাছে তারা বিধ্বস্ত হয় ০-৩ গোলের ব্যবধানে। দলের জয়ে এদিন মিলানের হয়ে একটি করে গোল দিয়েছেন হাঁকান কালহানোগ্লু, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ও আন্তে রেবিচ।

নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের সেরা তারকা চিরো ইম্মোবেল ও ফিলিপ কাইকেদোকে ছাড়া আগের দিন মাঠে নেমেছিল লাৎসিও। ইনজুরির কারণে ছিলেন না জোয়াকিন কোরেয়া, অ্যাডাম মারুসিচ ও লুইস ফিলিপও। তাদের ছাড়া সুবিধা করে উঠতে পারেনি দলটি। আধিপত্য বিস্তার করে মিলানই। ম্যাচের ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক চিপে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কালহানোগ্লু।

১১ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় মিলান। এবার গোল করেন ইব্রাহিমোভিচ। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ৩৮ বছর বয়সী এ সুইডিশ তারকা। ডি-বক্সের মধ্যে স্তেফান রাদুর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যদিও গোলরক্ষক থমাস স্ত্রাকোসা প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ইব্রার শট। হাতে লেগে বল আটকালেও পরে গড়িয়ে গোল লাইন পার হলে ব্যবধান বাড়ে।

এরপর ৫৯ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন বদলী খেলোয়াড় রেবিচ। জিয়াকোমো বোনাভেনচুরার বাড়ানো বল ধরে দারুণ এক কোণাকোণি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এ ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে এর পরেও গোল করার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন রেবিচ, একবার তো গোলরক্ষককে একাই পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেননি। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন থিও হার্নান্দেজও। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।

তবে শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় পায় মিলান। ফলে নাপোলিকে পেছনে ফেলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে তারা। ৩০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট তাদের। যদিও এক ম্যাচ কম খেলেছে নাপোলি। আর এ হারে ৩০ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট পাওয়া লাৎসিওর শিরোপা স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। শীর্ষে থাকা জুভেন্টাসের সংগ্রহ সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট।

Comments

The Daily Star  | English

‘Independents’ will stay in race

Says Hasina in face of 14-party allies’ demand for ‘cakewalk’ in shared seats

12h ago