‘নৌকা দিয়ে রাস্তা পার’
‘সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর রাস্তার শক্তিয়ারখলা বাজারের সামনে দূর্গাপুরের রাস্তায় আমরা গাড়ি-মোটরসাইকেল ব্যবহার করতাম। কিছুদিন আগে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে রাস্তাটি তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়াও, আনোয়ারপুর বাজারে সামনে সেতু থেকে দুশত মিটার রাস্তা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এই অংশে এখন নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়।’
আজ সোমবার এ কথা দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বলেন সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা বাজারের অধিবাসী ইসলাম উদ্দিন।
স্থানীয় প্রাইভেটকার চালক মোসাব্বির মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলা শহরের সঙ্গে কয়েকটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমরাও বেকার আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক স্থানে ভাঙ্গনের কারণে ফেরি ও নৌকা দিয়ে পারাপারের মাধ্যমে জেলা শহর ও উপজেলার সঙ্গে যাতায়াত চালু রাখা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কারণে ১১টি উপজেলায় পাকা রাস্তা ও গ্রামীণ সড়ক ভেঙে একশ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জেলায় দোয়রাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়কের কাটাখালী নোওয়াগাঁও ও জামালগঞ্জ-কাঠইর সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকায় রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়াসহ জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুর সড়কের বিভিন্ন স্থান বিধ্বস্ত হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের কারণে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন স্থানের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সড়কসহ প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
‘কিছু কিছু স্থানে বালির বস্তা ফেলে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত সব সড়কের কাজ করা হবে,’ বলেও যোগ করেন তিনি।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বন্যায় আমাদের অন্তত একশ কিলোমিটার রাস্তা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ভেঙে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুরসহ কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments