‘তুলে নেওয়া’ অভিযোগের ১ দিন পর খুলনার ২ পাটকল শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ
সদ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া খুলনার ইস্টার্ন জুট মিলের শ্রমিক নেতা অলিয়ার রহমান এবং প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক নেতা নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গত রোববার রাতেই এই দুজনকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরদিন সন্ধ্যায় দুজনকে পুরনো একটি মামলায় গ্রেপ্তারের কথা জানায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
অলিয়ার রহমান ও নূর ইসলামকে আজ মঙ্গলবার খুলনা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিনুর রহমান বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) কানাই লাল সরকার ডেইলি স্টারকে জানান, ‘সোমবার বেলা ৫টার দিকে দৌলতপুর থানা পুলিশ ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিলের একটি ভাঙচুর মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে অলিয়ার রহমান ও নুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বি এল কলেজ রোড, বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত রোববার রাতে পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের আহ্বায়ক সদ্য উৎপাদন বন্ধ হওয়া ইস্টার্ন জুট মিলের শ্রমিক অলিয়ার রহমানকে মশিয়ালি এলাকার বাসা থেকে এবং জোটের উপদেষ্টা প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক নেতা নূর ইসলামকে নগরের খালিশপুরের বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার। গতকাল বিকেলে পরিবারের সদস্যরা বলেছিলেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
নূর ইসলামের ছেলে মো. জুয়েল বলেন, আমার বাবাকে ফায়ার সার্ভিসের লোক পরিচয় দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অলিয়ার রহমানের ছেলে নাঈম শেখ জানান, ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দিয়ে তার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
যে মামলায় ওই দুই পাটকল শ্রমিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিনুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে নগরের নতুন রাস্তা মোড়ে শ্রমিকরা পুলিশ ক্যাম্পে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় পাটকলের দুই শ্রমিক নেতাকে সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
Comments