দুমকীতে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ক্লিনিকে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকীতে বরখাস্তকৃত নার্সকে পুনর্বহালের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে লুথান হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আসবাবপত্র, সিসিটিভি, কম্পিউটার ভাংচুর ও ওই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার ক্লিনিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারের কাছে এসব অভিযোগের কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ক্লিনিকের নার্স যুথী মণ্ডলকে অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক এবং গতকাল মঙ্গলবার চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে তাকে তিন দফা সতর্ক করা হয়। তিনি বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে জানালে তারা নানান সময় চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন।’
‘ক্লিনিকের পক্ষ থেকে বিষয়টি দুমকী থানা কর্তৃপক্ষকে জানালে গতকাল ওসি (তদন্ত) বিষয়টি সুরাহার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করলেও কোন সুরাহা হয়নি। আজ দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আনিসুজ্জামান সোহাগসহ কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মী ক্লিনিকে এসে ওই নার্সকে পুনর্বহালের জন্য নিয়োগপত্র ইস্যু করতে বলেন। আমি অসম্মতি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুরসহ সিসিটিভির রেকর্ডার নিয়ে যায়। এ সময় তারা ক্লিনিকের পরিচালক সাগর রোজারীওসহ আমাকে লাঞ্ছিত করেন,’ বলেন তিনি।
তিনি জানান, এ ছাড়াও তারা হামলা ভাংচুরের প্রমাণ নষ্ট করতে হাসপাতালের কিছু স্থানের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, কন্ট্রোল কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ভাংচুর ও মেমোরিসহ ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা হাসপাতাল থেকে চলে যায়।
অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কাউকে মারধর বা কোনো ভাংচুর করা হয়নি। নার্স যুথিকা মণ্ডলকে কেন চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে মাত্র।’
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে যাই। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Comments