করোনাভাইরাস

মৃত্যু ৫ লাখ ৪৯ হাজার, আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি সাড়ে ২০ লাখ

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি সাড়ে ২০ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ৬৫ লাখের বেশি মানুষ।
তেহরানে করোনা পরীক্ষার জন্য সাত বছর বয়সী এক শিশুর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ৮ জুলাই ২০২০। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি সাড়ে ২০ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ৬৫ লাখের বেশি মানুষ।

আজ বৃহস্পতিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৮০ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৬ জন।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯৯ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৩০০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৫৩ হাজার ৪২০ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৬০ জন, মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৯৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪৪ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৬০২ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ৫১১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৮ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ জন, মারা গেছেন ২১ হাজার ১২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৮ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ৬৫০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭১ হাজার ৭১৮ জন। পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১২ হাজার ৯১১ জন এবং মারা গেছেন ১১ হাজার ১৩৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৮৩ জন এবং মারা গেছেন ছয় হাজার ৫৭৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৭১ হাজার ৭৪১ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৩৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪২ হাজার ১৪৯ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৯১৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৬৪০ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৭২ জন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ৯৩৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৭৮০ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৯ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ৪৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮৩ হাজার ১৫৩ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৯ জন, মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ নয় হাজার ৪৬৩ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ৯৩৮ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ২৮২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮৭ হাজার ৫১১ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৫০ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮০২ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন দুই হাজার ১৯৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

6h ago