১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী বিদেশিদেরও ইতালিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের যাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। একইসঙ্গে, দু’সপ্তাহের মধ্যে সেসব দেশে ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশি নাগরিকদের জন্যও ইতালিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
Italy-1.jpg
ইতালির একটি বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের যাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। একইসঙ্গে, দু’সপ্তাহের মধ্যে সেসব দেশে ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশি নাগরিকদের জন্যও ইতালিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আজ শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু এবং ডমিনিকান রিপাবলিক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা এক বিবৃতিতে জানান, ১৪ দিনের মধ্যে যারা তালিকায় থাকা দেশে অবস্থান করেছেন বা ভ্রমণ করেছেন তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন।

এই ১৩টি দেশ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেনের বাইরের সব দেশের যাত্রীরা ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে, প্রবেশের পর বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

স্পেরেঞ্জা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এ মহামারি সবচেয়ে তীব্র পর্যায়ে রয়েছে। গত কয়েক মাস ইতালিয়ানরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমরা তা বৃথা যেতে দিতে পারি না।’

বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতালি সরকার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সব ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ৮ জুলাই থেকে শুরু করে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত যেকোনো দেশের নাগরিক কিংবা যেকোনো দেশ হয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কোনো ফ্লাইট ইতালিতে অবতরণের অনুমতি পাবে না।

রয়টার্স জানায়, ইতালি ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো দেশটিতে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়।

করোনায় দেশটিতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। মার্চ মাসের শেষের দিকে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের হার শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছায়। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ইতালি সরকার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago