না ফেরার দেশে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার জ্যাক চার্লটন

ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব জ্যাক ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় কাটান লিডসে।
jack charlton
ছবি: এএফপি

ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের জার্সিতে বিশ্বকাপ জেতার গৌরব অর্জন করা এবং আয়ারল্যান্ডের কোচ হিসেবে অসাধারণ সাফল্য পেয়ে দেশটির জনসাধারণের চোখের মণিতে পরিণত হওয়া জ্যাক চার্লটন মারা গেছেন।

লিডস ইউনাইটেডের সাবেক এই ডিফেন্ডার গেল বছর আক্রান্ত হন লিম্ফোমায় (লসিকা গ্রন্থির ক্যান্সার)। তাছাড়া, ডিমেনশিয়াতেও (স্মৃতি লোপ পাওয়া) ভুগছিলেন তিনি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

কিংবদন্তি ফুটবলার ও ছোট ভাই ববি চার্লটনের সঙ্গে নিজেদের মাটিতে ১৯৬৬ আসরের সবগুলো ম্যাচে খেলেছিলেন জ্যাক। সেবার ফাইনালে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।

ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব জ্যাক ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় কাটান লিডসে। ২১ বছরে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৭৭৩ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৯৬টি। ১৯৭৩ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার আগে ১৯৬৯ সালে লিগ ও ১৯৭২ সালে এফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নেন। বয়স ৩০ পেরিয়ে যাওয়ার পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছিল তার। ৩৫ ম্যাচ খেলে গোল করেন ছয়টি।

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর কোচ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন জ্যাক। ক্লাব পর্যায়ে মিডলসবরো, শেফিল্ড ওয়েন্সডে ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ডাগআউটে দাঁড়ানোর পর রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের দায়িত্ব নেন তিনি। তার হাত ধরে দলটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দারুণ সফলতা উপভোগ করে।

১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। দুই বছর পর বিশ্বকাপেও অভিষেক হয় তাদের। ওই আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গোটা ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছিল তারা।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী দলের ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জ্যাক। তার আগে মারা গেছেন অধিনায়ক ববি মুর, গর্ডন ব্যাঙ্কস, মার্টিন পিটারস, অ্যালান বল ও রে উইলসন।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

8h ago