ভায়াদোলিদকে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে রইল বার্সা
ম্যাচের শুরুর দিকে লিওনেল মেসির পাস খুঁজে নিল আর্তুরো ভিদালকে। এই চিলিয়ান মিডফিল্ডার ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিলেন জোরালো শট। পোস্টে লেগে বল জড়াল রিয়াল ভায়াদোলিদের জালে। ওই গোলই গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকল বার্সেলোনা।
শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে কিকে সেতিয়েনের দল। গেল অক্টোবরে দুদলের আগের দেখায় ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৫-১ ব্যবধানে ভায়াদোলিদকে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঠাসা ম্যাচে দুদলের গোলরক্ষককে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। প্রথমার্ধে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল বার্সা। বিরতির পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি। কাতালানদের রক্ষণে উল্টো ভীতি ছড়ায় স্বাগতিকরা। তবে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন চীনের প্রাচীর হয়ে আবির্ভূত হওয়ায় পা হড়কায়নি অতিথিরা।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার পয়েন্ট বেড়ে হলো ৭৯। এক ম্যাচ কম খেলে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে স্পেনের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
পঞ্চম মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দিতে পারতেন রিকি পুজ। নেলসন সেমেদোর কাটব্যাকে এই তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের দুর্বল শট সহজেই লুফে নেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক জর্দি মাসিপ।
গোল পেতে আসরের শিরোপাধারীদের অবশ্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৫তম মিনিটে চলতি মৌসুমে অষ্টমবারের মতো লক্ষ্যভেদ করেন ভিদাল। তার গোলে অবদান রেখে রেকর্ডের পাতায় আরও একবার নাম ওঠান ৩৩ বছর বয়সী মেসি।
এবারের মৌসুমে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের এটি ২০তম অ্যাসিস্ট। জাভির পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় এই কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। সাবেক বার্সা ও স্পেন তারকা ২০০৮-০৯ মৌসুমে সমানসংখ্যক অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। সেমেদোর কাটব্যাক গোলমুখে পেয়েও ঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন ফাঁকায় থাকা বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে আগে মেসির প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার হাভি মোইয়ানোর গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বিরতির পর বার্সা ছন্দে ছেদ পড়ার বিপরীতে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দেয় ভায়াদোলিদ। ৬০তম মিনিটে পাবলো হারভিয়াসের ক্রসে এনেস উনালের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন টের স্টেগেন।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও নৈপুণ্য দেখান এই জার্মান গোলরক্ষক। কাছের পোস্টে সান্দ্রো রামিরেসের নেওয়া কোণাকুণি শট হাত বাড়িয়ে রুখে দেন তিনি। তাতে বড় বাঁচা বেঁচে গিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
Comments