ঢাকার বাইরে কোরবানির পশুর হাট, অনলাইনে কেনাকাটায় গুরুত্ব
কোরবানির পশুর হাট ঢাকা শহরের বাইরে বসছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে। ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এবারের ঈদের জামায়াত মসজিদে আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সভাপতিত্বে সভায় এসব কথা জানানো হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইজিপি বেনজির আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য একটি গাইড লাইন তৈরি করছে, যা বাস্তবায়নে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
এ বছর কোরবানির পশুর জন্য অনলাইন কেনাকাটার ওপর জোর দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাস্তাঘাটের ওপর পশুর হাট দেওয়া যাবে না। পশুর ট্রাক কোন হাটে যাবে তা ওই ট্রাকের সামনে ব্যানারে লেখা থাকবে। এছাড়াও পশুর ট্রাক বা পশুবাহী কোনো গাড়ি কোথাও থামানো যাবে না। নদীপথে পশুবাহী ট্রলার যাতে অতিরিক্ত বোঝাই না হয় সে ব্যাপারে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ লক্ষ্য রাখবে।
কোরবানির পশুর হাটের ইজারাদারদের ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। হাত ধোয়া, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে এবং মাস্ক পরে হাটে প্রবেশ করতে হবে।
পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও যথাযথ বিপণনের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
ঈদ উল আযহায় পোশাক কারখানা অন্যান্য বারের চেয়ে কম সময় বন্ধ রাখা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে বিজিএমইএ ও কারখানা মালিকদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঈদে নদীপথে ফেরি, লঞ্চ ও জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। কেউ তা করলে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
Comments