প্রত্যন্ত হাওড় অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না

সুনামগঞ্জে যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই পানি আর পানি। অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদী-হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ে হাওরপাড়ের লোকজন গত চার দিন থেকে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। ত্রাণের আশায় রয়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা।
তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওড়ের জয়পুর গ্রামের বিনয় দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত চার দিন থেকে আমরা পানিবন্দি হয়ে আছি। ত্রাণের অপেক্ষা করছি। কেউ নৌকা নিয়ে আসলেই ত্রাণের আশায় ছুটে যাই। কিন্তু, আজ পর্যন্ত সরকারি ত্রাণের দেখা মিলেনি।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের খরচার হাওড়ের রাধানগর গ্রামের সাদ্দাম মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের গ্রাম প্রত্যন্ত হাওড় এলাকায়। গত তিন দিন থেকে সুরমার পানি সবার বাড়িতেই প্রবেশ করেছে। কোনো ত্রাণ পাইনি। ত্রাণের অপেক্ষায় আছি।’
এ প্রসঙ্গে গৌরারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফুল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে ৪৫টি গ্রাম নিয়ে আমার ইউনিয়ন। প্রায় সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। গত রোববার মাত্র ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার পেয়েছি।’
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজন ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বন্যার পরিস্থিতির মধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে মাঝে-মধ্যে শুকনো খাবার দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ত্রাণ সহায়তায় ৩৩৭ মেট্রিকটন চাল, নগদ ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’
‘আমরা সবদিকেই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি,’ যোগ করেন তিনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগামী ২/১ দিন তাহিরপুরে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরাতন সুরমা ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
Comments