উন্নতি নেই কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কোনো উন্নতি নেই কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির।
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বানভাসি মানুষ। ছবি: স্টার

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কোনো উন্নতি নেই কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির।

জেলার আট উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের প্রায় ৪০০টি গ্রাম এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন আড়াই লাখের বেশি মানুষ। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে নদ-নদীর পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদি পশু-পাখি ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সরকারি রাস্তায়, বাঁধের ওপরে নিরাপদ স্থান খুঁজে বাস করছেন অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘরে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভাটিতে পানি না নামায়, কমছে না ব্রহ্মপুত্রের পানি। আর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি না কমায়, ধরলার পানিও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র নদে নামতে পারছে না। সে কারণে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানিও বিপৎসীমার উপরে রয়েছে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জেলার প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উন্নতি হচ্ছে লালমনিরহাটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। অধিকাংশ দুর্গত এলাকা থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কাদুয়ার চর এলাকার নাদের হোসেন (৬৫) বলেন, ‘গতকাল রাতে ফৌজদারি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সোনাভরি নদীর পানিতে আমাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। রাতেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে সরকারি রাস্তা, বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে চলে এসেছি।’

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কলেজ রোডের বাসিন্দা নবির হোসেন (৫৪) বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানিতে উপজেলা শহর ভাসছে। সবখানে শুধু পানি আর পানি। উপজেলা পরিষদ চত্বরে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত বন্যার পানি। গত কয়েকদিন ধরেই বানের সঙ্গে যুদ্ধ করে বসবাস করছি।’

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল-ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বানভাসি মানুষকে নৌকায় করে নিরাপদে স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। কিছু দুর্গত এলাকা থেকে বানভাসিরা তাদের বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছেন। পানিবন্দি হয়ে যারা পরেছেন উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

5m ago